সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি জংশনের কাছে রাস্তার ধার থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। এই ঘটনায় সকাল থেকেই শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও পরে তদন্তে নেমে পুলিস মহিলার নাম জানতে পেরেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম লক্ষ্মী মায়া তামাং (৩০)। তিনি একজন ভবঘুরে ছিলেন। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। মৃতার বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ যেভাবে পড়েছিল তাতে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আক্রমণের মুখে পড়ে ওই মহিলা বাঁচার জন্য পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কাজেই খুনি একা ছিল না। কিন্তু একজন ভবঘুরেকে কেন এভাবে খুন করা হল? সেই প্রশ্নে ধন্দে পড়েছে পুলিস। যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি একটি ব্যস্ততম এলাকা। সারারাত গাড়ি চলে। আশপাশে একাধিক হোটেল ও নার্সিংহোম রয়েছে। সেখানে একজন মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কে বা কারা কেন এভাবে খুন করল তা নিয়ে সমস্ত মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। জংশনের মতো জনবহুল এলাকায় রাতের বেশকিছু জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চালার অভিযোগও এদিন জানিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবঘুরে ওই মহিলা রাতে যেখানে থাকতেন, সেখানে প্রতিদিন রাতে নেশার আসর বসত। তা থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে, নেশার আসরে বাধা দিতে গিয়ে কি কারও আক্রোশে পড়েছিলেন ওই মহিলা। নাকি মাদক কারবারীদের সমস্যা হয়ে উঠেছিলেন তিনি?
এদিন সাতসকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে প্রধাননগর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আসেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (ওয়েস্ট) চিন্ময় মিত্তাল। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর চিন্ময় মিত্তাল বলেন, এই খুনের রহস্য উন্মোচনের জন্য এলাকার সিসিটিভি’র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস এই খুনের রহস্য দ্রুত উন্মোচনের ব্যাপারে আশাবাদী।