বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবারই তাঁরা প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পাশাপাশি সংশোধীত, স্থানান্তরিত হওয়া এপিক কার্ডের মালিকরাও বাড়িতে বসে নতুন পরিচয়পত্র পাবেন। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই যাতে সকলে হাতে কার্ড পেয়ে যান তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদহে এবার প্রায় ৮৪ হাজার ৪১০ জন নতুন ভোটার বেড়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই জেলায় এক লক্ষের কাছাকাছি ভোটার বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গত মাসে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়। কোনওভাবে যাতে ভুতুড়ে ভোটারের নাম তালিকায় না থাকে, তা প্রশাসন তথা নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি তোলে। জেলার মধ্যে মানিকচক বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৪৭৪ জন নতুন ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। সীমানা ঘেঁসা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও উল্লেখযোগ্য হারে ভোটার বেড়েছে। সদ্য ১৮ পার হওয়া নতুন ভোটারদের নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু মধ্যবয়স্ক বহু মানুষ নতুন করে এজেলায় নাম তোলার জন্য আবেদন করেছেন। সেই বিষয়টি নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলি আপত্তি তুলেছিল। সবার আবেদন খতিয়ে দেখার জন্য তাঁরা প্রশাসনকে অনুরোধ করে। যদিও আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি নেওয়ার পরেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। কোনওভাবে যাতে অবৈধ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে না পারে তারজন্য কড়া নজর রাখা হয়েছিল বলে আধিকারকিরা দাবি করেন। যদিও তারপরেও অনেকে নিশ্চিত হতে পারেননি।
ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা তথা কলেজ পড়ুয়া দেবারতি বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌভিক মণ্ডল বলেন, আমরা এবারই প্রথম ভোট দেব। জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আমাদের নাম রয়েছে। তবে এখনও নতুন এপিক কার্ড হাতে পাইনি। কার্ড পাওয়ার জন্য নতুন ভোটারদের মতো আমরাও আকুল হয়ে রয়েছি। প্রথমবারের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্যও মুখিয়ে রয়েছি।
মালদহ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে প্রায় সারা বছরই ভোটার তালিকার কাজ হয়। নাম স্থানান্তর, সংশোধন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কাছে অফলাইনে আবেদন করা যায়। পাশাপাশি বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের তরফে অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএলও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তৃণমূল স্তরে তাঁরাই সারা বছর কাজ করেন। কোনও ভোটারের নথি যাচাই বা আবেদনপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁরা নতুন কার্ড বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। অনলাইনে জমা পড়া আবেদনে কোনও সংশয় বা ত্রুটি থাকলে বিএলও-রা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে নেন। সংশোধন করার থাকলে তাও করেন। এক্ষেত্রে কেউ নতুন এপিক কার্ড না পেলে বিএলওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে আমাদের কাছেও আসতে পারেন।