কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই পোস্টারে মূলত সিতাই কেন্দ্রে নতুন মুখ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সেই নতুন মুখের ক্ষেত্রে সিতাই কেন্দ্রের মধ্যে থাকা দিনহাটা-১ ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাউকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়েছে। বিধানসভা ভোটের মুখে দলের এই কোন্দল দ্রুত মেটাতে না পারলে ভোটের ফলাফলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার সকালে সিতাই বিধানসভার অন্তর্গত দিনহাটা শহর লাগোয়া কৃষিমেলা বাজারে ওই পোস্টার নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে অবশ্য কিছু যুবক রাতের অন্ধকারে লাগানো ওই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলে দেয়। জগদীশবাবু বলেন, কে পোস্টার দিয়েছে জানি না। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
কয়েকদিন আগেই কোচবিহারে এসে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের ডেকে মিলেমিশে নির্বাচনের কাজ করার কথা বলে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। কিন্তু তারপরেও জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই, তা একপ্রকার স্পষ্ট দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায়। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বিধায়কের পরিবর্তে নতুন মুখের দাবিতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা।
দিনহাটার বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, তৃণমূলের লোকেরাই তাঁদের বিধায়কদের আর প্রার্থী হিসেবে চান না। কারণ, তাঁরা এত কাটমানি খেয়েছেন যে দলের কর্মীরাই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরাই বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার দিচ্ছেন। আমাদের প্রচার তাঁরাই করছেন। মানুষ সব দেখছে। ভোটবাক্সে তার উত্তর মানুষই দেবে।
প্রসঙ্গত, দিনহাটা মহকুমার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। গত সপ্তাহে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে প্রার্থী না করার দাবি জানিয়ে রীতিমতো সভা করেছেন বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর একাংশ নেতা-কর্মী। এই ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় মহকুমারই আরেক বিধানসভা কেন্দ্র সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে প্রার্থী না করার জন্য পোস্টার পড়ায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে। এর আগে সিতাইয়ে এবারের ভোটে নতুন মুখ চেয়ে গীতালদহ, বড় শৈলমারি সহ একাধিক এলাকায় দলের একাংশ নেতা-কর্মী প্রকাশ্যেই মিছিল করেছেন।