বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি করে তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গুলিকাণ্ডে পলাতক অভিযুক্তের ভাইকে পুলিস হেপাজতে নিয়েছিল আগেই। রবিবার রাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে কার্বাইন এবং নয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আবার ওইদিন রাতেই গঙ্গারামপুর থানার পুলিস ভোরাল এলাকা থেকে একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত সেই ব্যক্তির নাম ননীগোপাল রায়। ওই ভোরাল এলাকাতেই তার বাড়ি।
এদিকে, এলাকায় আরও বেআইনি অস্ত্র মজুত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বিধানসভা ভোটের আগে তাই সতর্ক পুলিস।
জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, পুলিস কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়েই বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের উদ্দেশ্যে অভিযান চালাচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে শুকদেবপুর এলাকা থেকে একটি পাইপ গান ও এক রাউন্ড গুলি সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি শুকদেবপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে অত্যাধুনিক কার্বাইন মেশিনগান ও নয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্বাইন থেকে প্রয়োজনে একসঙ্গে অনেক গুলি চালানো যায়। এই আগ্নেয়াস্ত্রের রেঞ্জও সাধারণ পিস্তলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।
এই ঘটনার পর তৃণমূলের সমালোচনা করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচনের আগে ভয় দেখানোর জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে তৃণমূলীরা অস্ত্র মজুত করছে। রাজ্য ও জেলা পুলিসের উপর আমাদের ভরসা নেই। নির্বাচনের আগেই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অভিযান চাই। শুকদেবপুরের ঘটনায় আইওয়াশ করতে পুলিস ওই অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এমন অস্ত্র আরও অনেক রয়েছে।
এদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমরা পুলিসকে জানিয়েছি আইন আইনের মতো চলবে। জেলায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব কোনওভাবেই মানব না। দুষ্কৃতীদের হাতে এত আধুনিক অস্ত্র থাকলে সাধারণ মানুষ তো আতঙ্কে থাকবেই।