রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিগত বাম আমলে সাংসদ ও বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের এ টিম মাঠে শুরু হয় নেতাজি সুভাষ স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। মাথাভাঙা পুরসভা ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা যৌথভাবে স্টেডিয়ামের কাজ দেখভাল করেছে। মাঠের পূর্ব প্রান্তে অনেকটা জায়গাজুড়ে নির্মীয়মাণ গ্যালারিটি বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বেরিয়ে রয়েছে রড। এ টিম মাঠে যে কোনও স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে অনেক দর্শক ওই গ্যালারিতে বসে পড়েন। ফলে যে কোনও সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে সন্ধ্যা হলেই গ্যালারিতে বসে মদের আড্ডা ও চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর সমাজ বিরোধীদের দাপটে স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই সাধারণ মানুষের মুশকিল হয়ে পড়ে। সমস্ত কিছু জানার পরও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা বা পুরসভা দীর্ঘ বছর ধরে কোনও পদক্ষেপই করছে না। স্টেডিয়ামের গ্যালারির অংশের জমি পুরসভার। তারা প্রথম থেকেই গ্যালারির নীচে স্টল তৈরি করে ব্যবসায়ীদের বসানোর কথা বলছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্টল তৈরির কাজও হয়নি। যদিও পুরসভার দাবি, বাম আমলে গ্যালারির কাজ শুরু করার সময়ে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। ফলে গ্যালারির কাজ আজও অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অসমাপ্ত কাজের ফান্ড পাওয়া সমস্যা হয়ে যায়। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে ফান্ড সংগ্রহের। ইতিমধ্যে কোচবিহারের সাংসদের কাছে ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে এব্যাপারে টাকা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মাথাভাঙা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সঞ্জয়কুমার বর্মন বলেন, আমরা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নেওয়ার পর এব্যাপারে পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে পুরসভার সঙ্গে আমরা অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য বিভিন্নভাবে ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এবারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরেও আবেদন করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে ফের জানাব।
মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, এ টিম মাঠ গ্রাউন্ডে নেতাজি সুভাষ স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাম আমলে অপরিকল্পিতভাবে স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করা হয়েছিল। অসমাপ্ত কাজের জন্য ফান্ড পাওয়া সমস্যার। আমরা নিজস্ব উদ্যোগে স্টেডিয়ামের নীচে স্টল তৈরি করে ব্যবসায়ীদের বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। এজন্য ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর কাছেও এব্যাপারে আমরা আবেদন করেছি।