কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্থানীয় রাজনীতিতে কানাইয়া-করিমের বিরোধ কারও অজানা নয়। দলের নেতৃত্বও সেসম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এবার এই দু’জনের মধ্যে কোনও একজন টিকিট পেলে, অন্যজনের মনোভাব কী হয় তা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা।
ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও নিজেকেই প্রার্থী হওয়ার দাবিদার হিসেবে ঠারেঠোরে তুলে ধরছেন করিম চৌধুরী। ইতিমধ্যে স্থানীয় এক সভায় তিনি প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন । এদিকে, প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বরং অনেকটাই রেখেঢেকে মন্তব্য করেছেন কানাইয়া। যদিও দু’জনেই মেনে নিয়েছেন যে, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলই।
করিম সাহেব বলেন, যাঁরা বিধায়ক রয়েছেন, তাঁরাই প্রার্থী হবেন। এটাই দলের নিয়ম। কানাইয়াও অবশ্য নিজেকে প্রার্থী বলে দাবি করতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে দল।
কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ইসলামপুর কেন্দ্রে প্রার্থী কে হবেন, সেব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নেবে। আমি এব্যাপারে কিছু বলব না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ইসলামপুর আসনে তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল পেয়েছিলেন ৬৫,৫৫৯টি ভোট। সেসময় তৃণমূল প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন ৫৭,৮৪১টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল তৃণমূল প্রার্থী করিম চৌধুরীকে ৭,৭১৮টি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। পরে কানাইয়াবাবু দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়াবাবুকে রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া হয়। সেসময় তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে ইসলামপুর বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সেজন্য ইসলামপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়। লোকসভার ভোটের কয়েকদিনের মধ্যেই সেই উপনির্বাচন হয়। সেই বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরী ৭৭,৫২৫টি ভোট পান। বিজেপি প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল পান ৫৬,১২০টি ভোট। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়াবাবু সামগ্রিকভাবে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে হেরে গেলেও ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটের বিচারে কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর থেকে এগিয়েই ছিলেন। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গত লোকসভা ভোটে কানাইয়াবাবু পেয়েছিলেন ৬০,৯৭৬টি ভোট। বিজেপির দেবশ্রী পেয়েছিলেন ৫৬,৫৩১টি ভোট।
রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, করিম সাহের নিজে ১০ বারের বিধায়ক। এখনও তিনি বিধায়ক রয়েছেন। তাই তাঁর অভিজ্ঞতা অগ্রাহ্য করবার মতো নয়। আবার দলের নির্দেশে কানাইয়ালাল বিধায়ক পদ ছেড়ে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। তিনি তো ওই কেন্দ্র থেকে হারেননি। বরং আগে করিম সাহেবকে হারিয়েছেন। তাই প্রার্থী হিসেবে তাঁর দাবিও ফেলে দেওয়ার মতো না।