বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বুড়িরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মর্নেয়া বাজারে থাকা তৃণমূল ও বিজেপির দু’টি পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীরা হামলা করে। সেইসময় যথেচ্ছভাবে বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা দাবি বিজেপি বহিরাগতদের এনে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। বিজেপির ২৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিনয় রায় সরকার বলেন, শনিবার নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মর্নেয়ায় আমাদের যুব মোর্চার পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ওই কর্মসূচিতে এলাকার বহু সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এটা দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ওরা আমাদের দলের কর্মীদের ভয় দেখাতে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পার্টি অফিসে দুষ্কৃতী পাঠিয়ে হামলা চালায়। পার্টি অফিসের ভিতরে থাকা চেয়ার, টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে দেয়। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, ওরা নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপাতে চাইছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিমল বর্মন বলেন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিজেপির কিছু কর্মী আমাদের পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজি করে। বোমের শব্দ শুনে আমরা সেখানে পৌঁছলে ওই বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে আমাদের দলের কর্মীরা বাড়ি ফিরে যান। পরে আরও রাতে বিজেপির পাঠানো দুষ্কৃতীরা এসে আমাদের পার্টি অফিস ভেঙে দিয়ে চলে যায়। নজর ঘোরাতে ওরা পরে নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। মানুষ সবই দেখছে, সন্ত্রাসের আবহ করা তৈরি করতে চাইছে। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, রাতে দুই দলের দু’টি পার্টি অফিসে ভাঙচুর হয়। উত্তেজনা থাকায় এদিন এলাকায় টহল দেন পুলিসকর্মীরা।