পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে দলের বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে ঝাঁপানোর নির্দেশ দেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতোই এদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বুথে বুথে দলীয় ঝান্ডা লাগান। তৃণমূল সত্রের খবর, দলীয় নেতাদের বাড়ি থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়। প্রতিটি বুথে রাস্তার ধারে ডিভাইডারে, গাছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে দলীয় ঝান্ডা লাগানো হয়। দলের জেলা ও ব্লক কমিটি এবং শাখা সংগঠনের নেতারা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
দলের দার্জিলিং জেলা মুখপাত্র (সমতল) বেদব্রত দত্ত বলেন, মহকুমায় শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪৫টি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রে ৩০৭টি এবং ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে ২৪৮টি বুথ রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৮০০টি। প্রতি বুথে ১০০টি করে মোট ৮০ হাজার ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। এতে শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের মুখে শনিবার নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তৃণমূলের এই কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের মুখে দলের অসন্তোষ এড়াতেই তৃণমূল এমন কর্মসূচি নিয়েছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা মুখপাত্র (সমতল) অবশ্য বলেন, দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে জনসংযোগ আরও নিবির করতেই এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি মহকুমায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তবে দলের কোথাও কোনও বিরোধ নেই। শিলিগুড়ি মহকুমার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রেও এই কর্মসূচির পালন করা হয়েছে। এখানে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক সহ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রে শিলিগুড়ি পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ড এবং ডাবগ্রাম-১ ও ২ এবং ফুলবাড়ি-১ ও ২ এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখানে বুথ সংখ্যা ২৯৯টি। এখানেও প্রতি বুথে ১০০টি করে ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র