বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিহারের সেই দলের খোঁজে মালদহ পুলিসের একটি দল বিহারের মুঙ্গেরেও যাবে বলে জানা গিয়েছে। যে বাড়িটির চিলেকোঠায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানাটি চলছিল, সেই বাড়ির মালিক ও তার এক আত্মীয়ের খোঁজও চালানো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল থেকে কালিয়াচক থানার আলিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালায় কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও কালিয়াচক পুলিসের যৌথ বাহিনী। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পিত ওই অভিযানে জনৈক রাকিবুল শেখের বাড়ির চিলেকোঠার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, কিছু গুলি ও ম্যাগাজিন। আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে অনেকগুলিই ছিল তৈরি অবস্থায়। একদম ‘রেডি টু ইউজ’। আবার কিছু কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। সেসবের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জামও উদ্ধার করেন এসটিএফ ও কালিয়াচক থানার যৌথ বাহিনীর আধিকারিকরা। বিহারের মুঙ্গের থেকে ভাড়া করে আনা দুই আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তারও করে পুলিস। তাদের লাগাতার জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। কালিয়াচক থানার আধিকারিক অভিষেক তালুকদার জানিয়েছেন, হুমায়ুন শেখসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। পুলিস তাদের খুঁজছে।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, কালিয়াচকের বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বেআইনি অস্ত্র কারখানাটি সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। ওই কারখানা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। জেলা পুলিসের একটি দল খুব শীঘ্রই বিহারের মুঙ্গেরে যাবে অস্ত্র তৈরির গ্যাংয়ের কয়েকজনের খোঁজে।
এদিকে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানাটি পরিচালনার মূল মাথা হুমায়ুন শেখকে ২০১৫ সালে একবার ও ২০২০ সালে আরও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের হাতেও সে একবার ধরা পড়েছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। প্রতিবারই বেআইনি অস্ত্র তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার হতে হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ছাড়া পেতেই ফের একই ব্যবসা চালু করে দেয় সে। শনিবার যে বাড়িটিতে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস মিলেছে, সেই বাড়িটির মালিক ও তার এক নিকটাত্মীয়কেও মোটা কমিশনের বিনিময়ে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায় হুমায়ুন টেনে আনে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনজনেরই খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
একই সঙ্গে পুলিস জানতে পেরেছে, মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির জন্য হুমায়ুন ভাড়া করে আনত দক্ষ অস্ত্র নির্মাতাদের। তাদেরই দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুঙ্গের গ্যাংয়ের আরও অন্তত দু’জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলেও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। কালিয়াচকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র। -িনজস্ব চিত্র