পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করার পরে যাঁদের বাড়িতে স্লিপ পৌঁছেছে, তাঁদের বিডিও অফিসে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল ওই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে। মাইকিংয়ের সময় রবিবারই ওই কাজের শেষ দিন বলে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু স্লিপের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এদিকে, এদিনই শেষ দিন জেনে রবিবার সকাল থেকেই বালুরঘাট বিডিও অফিসে বাসিন্দারা জড়ো হতে শুরু করেন। দুয়ারে সরকারে আবেদনের পরে অনেকেই আবেদনের কাউন্টার পার্ট পেয়েছেন। তা নিয়েই গ্রামবাসীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সকলেই সেই কাউন্টার পার্টকেই স্লিপ ভেবে, তা নিয়ে বিডিও অফিসে জড়ো হন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, সন্তান সহ গৃহবধূরাও আসেন। পরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এরপরেই এই বিভ্রান্তি ও হয়রানির জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখান আবেদনকারীরা।
বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার বলেন, যাঁরা শুধুমাত্র আবেদন করেছেন, তাঁদের ডাকা হয়নি। আবেদনের পরে স্বাস্থ্য ভবন থেকে দেওয়া ইউআরএন স্লিপ যাঁরা পেয়েছেন, কেবল তাঁদেরই ডাকা হয়েছিল। পঞ্চায়েতগুলিতে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে মাইকিং করলে ভালো হতো। ভুল বোঝাবুঝির ফলে অনেকে চলে এসেছিলেন। আমরা সবাইকেই আশ্বাস দিয়েছি। সকলকেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হবে। পরবর্তীতে পঞ্চায়েতগুলি যাতে সঠিকভাবে প্রচার চালায়, সেজন্য নির্দেশ দেব।
এবিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রাণু মণ্ডল বলেন, কী প্রচার হয়েছিল, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।
এদিকে, ভুল মাইকিংয়ের অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েতগুলির কর্তৃপক্ষ। জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, আমরা সঠিক মাইকিং করেছি। মানুষ না বুঝেই সেখানে চলে গিয়েছেন। গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুপুর বর্মন বলেন, বিডিওর নির্দেশেই মাইকিং করা হয়েছে। এখন জনগণ কি বুঝেছে, কে জানে। শুনেছি, অনেকেই বিডিও অফিসে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। এরপরে ভালোভাবে বুঝিয়ে প্রচার চালাব।
স্বাস্থ্যসাথীর ছবি তুলতে না পেরে বিক্ষোভ বিডিও অফিসে। -িনজস্ব চিত্র