রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ রায় বলেন, ৪০ বছর আগে পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। তারপর বিভিন্ন সময়ে রাস্তা সংস্কার করা হলেও এখন যা অবস্থা তাতে প্রতিপদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। পুরসভা আমাদের এখানে কোনও কাজই করছে না। নিকাশি নালা ভেঙে গিয়েছে। ঠিকমতো পানীয় জল মিলছে না। আমরা ঠিক করেছি, ভোটের আগে এসব নিয়ে পুরসভা স্থায়ী কোনও পদক্ষেপ না নিলে বিধানসভা ভোটে আমরা কেউ অংশগ্রহণ করব না।
আরএক বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, এলাকায় রাস্তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে আছে। শহরের অন্যান্য এলাকায় রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে, কোথাও আবার ম্যাস্টিক রাস্তা বানানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এদিকে কারও কোনও খেয়াল নেই। তাই ‘নো রোড নো ভোট’ এমন ফ্লেক্স বানিয়ে এনে এদিন মিছিল করি। আমাদের রাস্তা ঠিক করা না হলে এবার ভোট বয়কট হবে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, ওই এলাকার রাস্তা কী অবস্থায় আছে সেই ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের সঙ্গে কথা বলব। ২০ নম্বর ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তৃণমূলের বিপ্লব সরকার বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার পাশ হয়েছে। বিজেপি এলাকার লোকজনকে উস্কে দিয়ে এদিন এমনটা করেছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, মানুষ পুতুল নয় যে, আমাদের কথা শুনবে। রাজ্য সরকার উন্নয়ন করেনি, তাই ক্ষোভে ফুঁসছে। তারা ধীরে ধীরে রাস্তায় নেমে আসছে।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর রেল ঘুমটির দক্ষিণপাড়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ভেঙেচুরে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই রাস্তা ভাঙা। অতীতে কয়েকবার জোড়াতাপ্পি দিয়ে ভাঙা অংশ মেরামত করা হলেও নতুন করে গোটা রাস্তায় পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়নি। বর্ষার তিনমাস খানাখন্দে জল জমে বিপজ্জনক হয়ে যায়। শুখা মরশুমে ধুলোবালি ওড়ে। ওই রাস্তা দিয়েই ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়। সাইকেল নিয়ে অনেকেই গর্তে পড়ে জখম হয়। ভাঙা রাস্তাই শুধু নয়, নর্দমাগুলির অবস্থাও সঙ্গীন। বারবার পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এসব নিয়ে কেউ ভাবে না। নিজস্ব চিত্র