পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় ধৃত বাংলাদেশি শেখ তারিক বছর চারেক আগে এরাজ্যে অনুপ্রবেশ করে। তারপর সে মালদহে ভোটার এবং আধার কার্ড বানিয়ে ফেলে। সেসব ভুয়ো পরিচয়পত্রের জোরেই গাজোলে জায়গা কিনে এদেশের বাসিন্দাদের মতো বসবাসও শুরু করে। কীভাবে তা সম্ভব হয়েছে তা পুলিস তদন্ত করে দেখবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করতে বহু মানুষের কালঘাম ছুটে যায় বলে অভিযোগ। সেখানে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হাতের মুঠোয় কীভাবে এত দ্রুত আধার, ভোটার কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র এল, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
মালদহের ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, ধৃত শেখ তারিকের কাছে এদেশের আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে। সে চার বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে ঢোকে। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
উল্লেখ্য, বন্ধ ব্যাঙ্কের শাখা এবং রক্ষীবিহীন এটিএম কাউন্টারগুলি বরাবর দুষ্কৃতীদের কাছে সফট টার্গেট হিসেবে পরিচিত। মালদহে এর আগে একাধিক এটিএম কাউন্টার ও ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা সফলও হয়েছে। বছর খানেক আগে ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহ, গাজোলের একাধিক এটিএমে কয়েকদিনের ব্যবধানে দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। মেশিন ভেঙে টাকা লুট করা হয়। তারপর ইংলিশবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। রাতে ব্যাঙ্কে ঢুকে তারা ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করে। তবে ডাকাতদল সেখানে সফল হয়নি। উভয় ক্ষেত্রেই সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ফলে ফুটেজ পেতে পুলিসের সমস্যা হয়। ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকায় তদন্তে নেমে পুলিসকে বেগ পেতে হয়। ওই চক্রের মধ্যে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকায় উদ্বিগ্ন পুলিস আধিকারিকরা।
সম্প্রতি মালদহে একাধিক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে কালিয়াচক থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। মুর্শিদাবাদের এক দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে সে কালিয়াচকে ঘাঁটি গাড়ে। ওই বাংলাদেশির আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে পুলিসের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। তার আগে হবিবপুর সীমান্ত হয়ে জেলায় ঢোকা এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর কাছ থেকে পুলিস আধার কার্ড উদ্ধার করেছিল। ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টার ঘটনাতেও অভিযুক্ত বাংলাদেশির কাছ থেকে ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার হওয়ায় পুলিস উদ্বিগ্ন।
এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, নিজের এলাকায় ঘোরাফেরা করার জন্য সাধারণত দেশবাসী আধার বা ভোটার কার্ড সঙ্গে রাখেন না। কিন্তু বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কোনওভাবে এদেশের আধার বা ভোটার কার্ড তৈরি করার পর সেটি সর্বদা সঙ্গে রাখে। পুলিসের নাকা চেকিং বা স্থানীয় বাসিন্দাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাতে সে নিজেকে ভারতীয় বলে প্রমাণ করতে পারে, তারজন্যই বাংলাদেশিরা এমনটা করে থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক দুষ্কৃতীর কাছ থেকে সুজাপুরের ঠিকানায় তৈরি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। জেরার মুখে সে সুজাপুর সম্পর্কে তথ্য দিতে না পারায় তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়। ব্যাঙ্ক ও এটিএম লুটের লক্ষ্যে এদেশে ঢোকা বাংলাদেশিদের পক্ষে জেলার খুঁটিনাটি জানা সম্ভব নয়। ফলে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তারা। প্রতীকী চিত্র