কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালুরঘাট শহরের বাজারগুলির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনের মধ্যে মুরগির মাংসের দাম কমে গিয়েছে। সপ্তাহ কয়েক আগেও বালুরঘাটের বাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংসের (কাটা) দাম ছিল ১৯০-১৯৫ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু বর্তমানে সেই দাম কমে হয়েছে ১৭০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া দেশি মুরগির মাংসের দামও কমেছে। আগে তা ছিল ৪০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছেন, মুরগির মাংসের দাম কমে গেলেও আগের মতো আর চাহিদা নেই। অন্যদিকে, চাহিদা বেড়েছে খাসির মাংসের। তাই বাড়তি চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার দামও বেড়েছে। কিছুদিন আগেও বালুরঘাটের বাজারে খাসির মাংসের দাম ছিল কেজি পিছু ৬৫০ টাকার আশেপাশে। তবে কিছুদিন ধরে খাসির মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকা।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী উৎপল দাস বলেন, মুরগির চাহিদা হঠাৎ করে কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দামও কমেছে। অন্যান্য বছর এসময়ে প্রচুর পিকনিক হয়। তাই চাহিদাও বেশি থাকে। এবছর পিকনিক হলেও সেভাবে চাহিদা নেই। তবুও যেটুকু বিক্রি হচ্ছে, তা মূলত পিকনিকের জন্যই হচ্ছে। হয়তো বাইরের রাজ্যে মুরগির যে রোগ হচ্ছে, সেজন্যই এমনটা হচ্ছে। আর এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অনিল পাহান বলেন, এই সময় মুরগির মাংসের চাহিদা বরাবর বেশিই থাকে। কিন্তু কিছুদিন ধরে আর চাহিদা নেই। তার পরিবর্তে খাসির মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এখানে তো বার্ড ফ্লু হয়নি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা কেটে যাবে। এবিষয়ে রবিবার বাজার করতে আসা সুবোধ মালাকার বলেন, সবেমাত্র করোনা পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই বার্ড ফ্লুর সংক্রমণের খবর পেয়েছি। যার ফলে এখন আর মুরগির মাংস খাচ্ছি না। তার পরিবর্তে খাসির মাংস কিনেছি। আগে থেকেই সাবধান হচ্ছি।
অন্যদিকে, বার্ড ফ্লু নিয়ে অভয় দিচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর অভিজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, মুরগির চাহিদা কী কারণে কমেছে বুঝতে পারছি না। তবে একটা ভয় সবারই থাকে। বার্ড ফ্লু এই দিকে আসেনি। তাই এবিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাও যদি কারও ভয় থাকে, তাহলে মাংস খুব ভালোভাবে সিদ্ধ করতে হবে। কমপক্ষে ৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। এছাড়াও রান্নার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রাদুর্ভাব যখন দেখা দিয়েছিল, তখনও করোনার ভয়ে মুরগির মাংসের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল। কিন্তু পরে সেই ভ্রান্ত ধারণা কেটে যাওয়ায় ফের চাহিদা বাড়ে, বেড়ে যায় দামও।