বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শনিবার রাতে গ্রামে গিয়েছিলেন স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সোনু ভাস্কর। সেসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিজেপি নেতা মেঘুয়া ওঁরাও। কিন্তু তিনিও বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সোনুবাবুর পাশাপাশি মেঘুয়াবাবুও টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে এলাকার অন্যান্য নেতা সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সামলান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা মেঘুয়া ওঁরাও এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পুতুল ওঁরাওয়ের বাবা। তিনি গ্রামের বহু বাসিন্দার কাছ থেকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। আবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে দিয়ে কোনও কাজ হবে না, এই অজুহাত দিয়ে যুব তৃণমূল নেতা সোনু ভাস্করও গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এলাকার বাসিন্দা অতুল দাস বলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে স্থানীয় বিজেপি নেতা মেঘুয়া ওঁরাও এবং যুব তৃণমূল নেতা সোনু ভাস্কর দুজনেই টাকা দাবি করেন। আমি বিজেপি কর্মী, তারপরেও আমার কাছে টাকা চায় ওই বিজেপি নেতা। ওদিকে যুব তৃণমূল নেতা ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা নিয়েছেন আমার কাছ থেকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতা মেঘুয়া ওঁরাও বলেন, ওই যুব তৃণমূল নেতাই তোলাবাজি করেছেন। আমি কারও থেকে টাকা তুলিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, যুব তৃণমূল নেতা বলেন, স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যর তরফে টাকা দাবি করা হলে বাসিন্দারা আমার কাছে আসেন। আমি এলাকার মানুষকে সাহায্য করেছি। কিন্তু টাকা নিইনি। যাঁদের টাকা ঢুকেছে, শনিবার রাতে গ্রামে গিয়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট চেক করতে বলি। তখন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা এসে আমাকে হেনস্তা করেন।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, তোলাবাজি তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপির কোনও সদস্য একাজে যুক্ত নন।
এদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দলের বিরুদ্ধে বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।
এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখা হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখতে ব্লকের নোডাল অফিসারকে গ্রামে পাঠানো হবে।