পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সাতদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর একটি মাদক কারখানা সিল করে এসটিএফ। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে তারা শিলিগুড়িতে মাদক প্যাকেজিং ইউনিটের হদিশ পায়। শিলিগুড়ি শহরের আশরফনগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই ইউনিট গড়া হয়েছিল। শুক্রবার রাতে এসটিএফের উত্তরবঙ্গ শাখা সংশ্লিষ্ট ইউনিটে হানা দেয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন এসটিএফের আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাড়ির তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত মাদক কারবারিরা। অভিযুক্তদের কেউ ধরা না পড়লেও এসটিএফ সেখানকার একটি ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে নগদ ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার ১৮০ টাকা। যারমধ্যে ১১টি ২০০০ টাকার, ২৬০৯টি ৫০০ টাকার, ৬৮৩টি ২০০ টাকার, ২২১৮টি ১০০ টাকার, ৭৪০টি ৫০ টাকার, ৫৫টি ২০ টাকার এবং ২১৮টি ১০ টাকার নোট রয়েছে। এরবাইরে তিনটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিন, দু’টি সিলিং মেশিন, একটি নোট গণনার মেশিন ও ১০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা জানান, ফল ও সব্জির লরি চালকের পরিচয় দিয়ে ওই বাড়ি ভাড়া নেয় মাদক কারবারিরা। তাদের নাম নাণ্টু শেখ, রহমত শেখ ও হোসেন শেখ। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায় তাদের বাড়ি। তারা লালগোলা থেকে বাসে ও লরিতে করে হেরোইন এখানে নিয়ে আসত। তা বিভিন্ন ওজনে প্যাকেটজাত করা হতো। এরপর শিলিগুড়ি শহরের মাটিগাড়া, প্রধাননগর, জংশন, এনজেপি, ফুলবাড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্নপ্রান্তে চালান করত। এই প্যাকেজিং ইউনিটের মাস্টার মাইন্ড সম্ভবত নাণ্টু। সে ২০১৭ সালে মাদক পাচারের অভিযোগে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে ধরাও পড়েছিল।
এসটিএফের অফিসাররা বলেন, ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর ধরে অভিযুক্তরা এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল। মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যে একজন বা দু’জন কয়েকদিনের জন্য উধাও হয়ে যেত। জানতে চাইলে ফল ও সব্জির লরি নিয়ে কখনও অসম, আবার কখনও নেপাল পাড়ি দেওয়ার কথা জানাত তারা। এছাড়া তারা প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হতো। রাতে বাড়িতে ফিরত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাড়িভাড়া মেটাত। কিন্তু ওরা যে ভিতরে ভিতরে এমন কারবার চালাচ্ছিল তা ভাবতেই পারেননি বাড়ির মালিক। শীঘ্রই পলাতক কারবারিদের ধরা হবে। তাদের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় হেরোইন প্রস্তুতের একটি কারখানার হদিশ মেলে। ওই ঘটনায় আনওয়ারুল ইসলাম, বিকাশ মণ্ডল ও তোফাজুল হক নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের দেওয়া তথ্য অনুসারেই শিলিগুড়ির ওই প্যাকেজিং ইউনিটে হানা দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে সিআইডি সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খোঁজ নিচ্ছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দাদের বক্তব্য, জেহাদি সংগঠনের কায়দায় সংশ্লিষ্ট প্যাকেজিং ইউনিট চালানো হচ্ছিল।