পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উদ্যানপালন দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলা আধিকারিক সুফল মণ্ডল বলেন, গাঁদা ফুল চাষে অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অনুদান হিসেবে প্রতি বর্গ মিটার এলাকায় ৬৪ টাকা হিসেবে প্রতি হেক্টরে ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কালিয়াগঞ্জ ব্লকে ১২ জনকে এই মরশুমে অনুদান দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়া হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ালপোখর-২ ব্লকের সূর্যাপুর, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ ব্লকে এই ফুলের চাষ হয়। অন্য এলাকাগুলিতে গাঁদা চাষিরাও যাতে বঞ্চিত না হয় সেজন্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে উপভোক্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা যায়। জেলায় প্রায় ৩৬০ হেক্টর এলাকায় গাঁদা ফুলের চাষ হয়।
ইসলামপুর ব্লকের গরহনডাঙ্গা এলাকার এক ফুল চাষি জগদীশ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস সহ বিভিন্ন ফুলের চাষ করি। গাদা ফুলের মালা তৈরির জন্য লোক পাওয়া যায় না। তাই এবছর গাঁদা চাষ করিনি। তবে দপ্তর থেকে আমাকে একটি পলি হাউস দেবে বলেছে। চাষিরা জানিয়েছেন, শুধু গাঁদা নয় গোলাপ, গ্লাডিওলাস সহ বিভিন্ন প্রকার ফুলের চাষ জেলায় শুরু হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, জেলায় ফুল চাষে বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সরকারি ভাবে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। গাঁদা ফুল ছাড়াও অন্য যেসমস্ত ফুলের চাষ হচ্ছে সেগুলিকেও অনুদান দেওয়ার দাবি উঠেছে। গাঁদা ফুল বাজারে বিক্রি করতে হলে তা দিয়ে মালা তৈরি করতে হয়। কিন্তু বেশি পরিমাণ ফুলের মালা তৈরির জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। মালা তৈরির দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে এলাকায়। ফুল চাষিরা বলেন, অন্যান্য ফুলের তুলনায় জেলায় গাঁদা ফুলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষের জন্য অনুদান সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিষয়ে গ্রামের অনেক চাষি জানতে পারছে না। অনেকেই প্রথম বার ফুলের চাষ করতে চাইছেন কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে নতুন এই চাষে সাহস পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত গ্রামাঞ্চলে চাষিদের নিয়ে শিবির করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
ফুলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ সবেতেই ফুলের চাহিদা থাকে। সেই সঙ্গে পুজো ও উৎসবেও চাহিদার অন্ত নেই। ফলে এই চাষে চাষিদের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বছরের যেসময় পুজো, উৎসব কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান থাকে সেসময় ফুলের উৎপাদন কম থাকে। তাই ফুলের বাজর তৈরি ও ফুল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করারও দাবি উঠেছে।