বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মালদহের লিড ডিস্ট্রক্ট ম্যানেজার সুশান্ত হালদার বলেন, এদিন সকালে ওই ব্যাঙ্কের শাখায় থাকা এটিএমে সংস্থার লোকজন টাকা ভরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁরা ভিতরে দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি গেড়ে থাকার বিষয়টি টের পান। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। তারপর এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়। টাকা চুরি গিয়েছে কিনা তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। পরে এব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাবে। সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরিফ আলি বলেন, দিনের আলোয় এভাবে বন্ধ ব্যাঙ্কে দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি গাড়ার ঘটনা আগে এলাকায় ঘটেনি। এদিন ব্যাঙ্ক ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা শাখাটি ঘিরে ফেলে। ফলে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়।
ব্যাঙ্ক এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনি ও রবিবার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দুষ্কৃতীরা সচেষ্ট হয়। তারিকের কাছ থেকে পুলিস ড্রিল মেশিন, গ্যাস কাটার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির পাশাপাশি শুকনো খাবার ও বিছানা উদ্ধার করে। পুলিসের অনুমান, শুক্রবার রাতে সে ব্যাঙ্কের একটি জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকে। দুষ্কৃতীরা শনি বা রবিবার রাতে পুরো অপারেশন চালানোর ছক কষেছিল। তার আগে তারিক প্রাথমিক কাজকর্ম সেরে রাখার উদ্দেশ্যে ভিতরে ঢোকে। দীর্ঘক্ষণ তাকে ব্যাঙ্কের বন্ধ শাখার মধ্যে কাটাতে হতে পারে ভেবে সে বিছানা ও শুকনো খাবর সঙ্গে নিয়েছিল। গ্যাস কাটার দিয়ে সে ব্যাঙ্কের ভল্ট কাটার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু এদিন সকালে ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা ভরতে গিয়ে সংস্থার লোকজনের বিষয়টি সামনে আসে। ভিতরে কেউ রয়েছে বলে কর্মীরা অনুমান করে। সঙ্গে সঙ্গে তারা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। তা শুনে স্থানীয় বাস স্টপেজ ও বাজার এলাকার লোকজন জড়ো হয়। স্থানীয়রা ব্যাঙ্ক ঘিরে ফেলে। ওইসময় জানালা দিয়ে তারিক পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধরে ফেলে বাসিন্দারা পেটাতে শুরু করে। জখম অবস্থায় পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ব্যাঙ্কের ভিতরে আরও দুষ্কৃতী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে বাসিন্দারা অনুমান করেন। ফলে তারা দীর্ঘক্ষণ চারপাশ ঘিরে রাখে। যদিও অন্য কোনও দুষ্কৃতীর সন্ধান পুলিস এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়নি। বাংলাদেশ থেকে আসা এক দুষ্কৃতী এভাবে দীর্ঘদিন ধরে জেলায় কীভাবে ঘাঁটি গেড়েছিল তা নিয়ে পুলিস মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।