বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, আমরা ভোটার তালিকা হাতে পেয়েছি। সেই তালিকা ব্লকে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বুথস্তরে পোলিং এজেন্ট বাছাই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই বিধানসভা ভিত্তিক এজেন্টদের ডেকে নিয়ে গাইডলাইন জানিয়ে দেওয়া হবে। স্থানীয় নেতৃত্বকে বলা হয়েছে পথসভা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রথম ধাপে এসব করা হবে।
কোচবিহার জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবার কতগুলি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করবে, সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের কাছে বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল শিবির ন’টি আসনের মধ্যে আটটিতেই জয়ী হয়েছিল। একটি পেয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে জেলার সিতাই ও শীতলকুচি বিধানসভা বাদে বাকি সাতটিতেই তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। সেইসময় থেকেই জেলায় বিজেপির উত্থান ঘটে। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের নিচুতলা থেকে উঁচুস্তর সব ক্ষেত্রেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন, ব্লক ও অঞ্চল কমিটি ঘোষণা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার দলকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষও ঘটছে।
সামনেই বিধানসভা ভোট, তাই নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে দল। আর তারজন্য রীতিমতো পরিকল্পনা করে এগনো হচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা ছেপে এলাকায় এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুসারে প্রতিটি এলাকার বুথ ধরে ধরে পোলিং এজেন্ট বেছে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাঁদের প্রশিক্ষণ, গাইডলাইন জানিয়ে দেওয়া হবে। যাতে নির্বাচনের সময় তাঁরা ঠিকভাবে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারেন। সরকার এতদিন ধরে যেসমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা তুলে ধরতে লোকশিল্পীদের দিয়ে গান বাঁধা হচ্ছে। ওইসব প্রকল্পের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ট্যাবলো সাজানো হবে। তা বাজার, জনবহুল এলাকায় ঘুরবে। সব মিলিয়ে জেলার বিধানসভা আসনগুলিতে জয় পেতে প্রচারকে একেবারে নিচুস্তরে নিয়ে যাওয়াই আপাতত ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।