পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সম্পাদক রঞ্জন রায় বলেন, আমাদের দলের কেউ তৃণমূলের কাউকে মারতে যায়নি। বৃহস্পতিবার আমাদের দলের এক কর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মীর টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা হয়। দু’জনই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগিয়ে রাতে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী গোপালপুর বাজারে ব্যাপক বোমাবাজি করে। এরপর বাজারের পাশে যিশুকান্ত বর্মনের বাড়িতে ওরা হামলা চালায়। ওঁর দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করে। একটি চারচাকার গাড়িও ভেঙে দেয়। পরে ওই বাহিনী আমার বাড়িতে এসে ভাঙচুর করে। আর এক বাড়িতেও হামলা করে। গোপালপুর বাজারে এবং মাঝিরবাড়িতে আমাদের দু’টি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। এদিন সকালে আমরা ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে গোপালপুর বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
মাথাভাঙা-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহেন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার আমদের দলের কর্মী বাবলু বর্মন মাথাভাঙা যাওয়ার জন্য মাঝিরবাড়িতে একটি দোকানে বসেছিলেন। সেই সময়ে বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। বাঁশ দিয়ে ওঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ওঁর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। বাবলুবাবু এখন কোচবিহার মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছেন। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজেদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে এখন বিজেপি আমাদের নামে বদনাম করছে। আমরা পুলিসের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। এদিন সকালে গোপালপুর বাজারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আবারও জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয়দের বাধায় ওরা পালিয়ে যায়। আমরা বোমা বন্দুকের রাজনীতি করি না। বিজেপি এলাকায় অরাজকতা তৈরি করতে চাইছে। পুলিসকে জানানো হয়েছে যাতে দুষ্কৃতীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হয়। মাথাভাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুরে ঝামেলা হয়েছিল। তবে এদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। নতুন করে আর যাতে কোনও ঝামেলা না হয় সেই কারণে এলাকায় পুলিস ভ্যান দিনভর টহল দেয়।