দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কোভিড পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বিধানসভা ভোট করে নির্বাচন কমিশন। তারা লাইনে ভোটারদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওই রাজ্যে বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। সেই মডেল সামনে রেখে এই রাজ্যেও বুথ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। তাদের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো দার্জিলিং জেলা প্রশাসনও এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে জেলার শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, কার্শিয়াং ও দার্জিলিং এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ১৪১৩টি। সর্বোচ্চ ১২০০ ভোটার ধরে বুথগুলি গঠন করা হয়েছে। এবার সর্বোচ্চ ১০৫০ ভোটার পিছু বুথ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে জেলায় বুথ সংখ্যা বাড়বে ৩০৬টি। এরমধ্যে ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা বাড়ছে সবচেয়ে বেশি, ৮৫টি। এরবাইরে, শিলিগুড়িতে ৬৮টি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ৮৩টি, কার্শিয়ংয়ে ৪২টি এবং দার্জিলিং কেন্দ্রে ২৮টি বুথ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, যেসব বুথের ভোটার সংখ্যা ১০৫০ জনের বেশি, সেগুলি ভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তা হলে বুথে ভোটারদের জটলা কম হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হবে। কোভিড মোকাবিলায় ভোটারদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। সেই মতো ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে বর্তমানে বুথ সংখ্যা ২৪৮টি। তা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৩৩টি। শিলিগুড়িতে বুথ সংখ্যা ২৪৫ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৩১৩টি এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে বুথ সংখ্যা ৩৯০টি। একইভাবে পাহাড়ের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র দার্জিলিং ও কার্শিয়ংয়েও বুথ বাড়ছে। অর্থাৎ জেলায় বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৭১৯টি।
এভাবে বুথ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও প্রেমিসেস বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে জেলার সমতল ভাগে অর্থাৎ শিলিগুড়িতে ১০০টি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ২১৭টি এবং ফাঁসিদেওয়ায় ১৮১ টি প্রেমিসিসে বুথগুলি গঠন করা হতো। এবারও সংশ্লিষ্ট প্রেমিসিসেই অতিরিক্ত বুথগুলি গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে একাধিক বুথ থাকা প্রেমিসিসের সংখ্যা বাড়বে।
কোথাও দু’টি, কোথাও তিনটি বা চারটি করে বুথ হবে। এতদিন একটি প্রেমিসিসে সর্বাধিক পাঁচটি বুথ হতো। এবার তা বেড়ে হতে পারে ছ’টিও। এ জন্য প্রেমিসিসগুলি অর্থাৎ স্কুল ও সরকারি ভবনগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু নতুন জায়গায় বুথ গঠন করা সম্ভব নয়।