পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা থেকে পথ অবরোধ শুরু করেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ভালুকা হয়ে ইংলিশবাজারগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রাস্তায় টায়ার পোড়ানো হয়। বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে সেই অবরোধ। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়। রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই গ্রামের বিদ্যুতের লাইন। তারপর থেকে বারবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় কুপি বা লণ্ঠনের আলোয় পড়াশুনা করতে হচ্ছে ওই গ্রামের পড়ুয়াদের। গ্রীষ্মকালে কষ্ট আরও বাড়ে।
এছাড়া এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। গ্রামে পরিশ্রুত জল সরবরাহের পাইপলাইন বসানো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়নি। তাই প্রয়োজনে বাসিন্দাদের ভরসা নিজেদের বসানো অগভীর নলকূপ। সেই জল খেয়ে পেটের রোগে ভুগছেন বাসিন্দাদের অনেকে। বিশেষ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এলাকার বয়স্ক ও শিশুরা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা রবিদাস বলেন, এখানে পাইপলাইন আছে। কিন্তু জল নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের খুঁটিগুলির সংস্কার না হওয়ায় আজও অন্ধকারেই রয়েছি আমরা। জল আর বিদ্যুতের দাবিতে তিন বছর ধরে হন্যে হয়ে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের দরজায় ঘুরে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। বিদ্যুতের অভাবে গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সমস্যা হয়। অবিলম্বে আমাদের গ্রামে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে।
বিক্ষোভকারী বিজয় মুশহর বলেন, আমাদের ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা তো দিতেই হবে। আমরা এবিষয়ে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেছি। তার নথিপত্র রয়েছে। তিন বছর ধরে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষে বাসিন্দারা পথে নেমেছেন। আমি নিজে কুপির আলোয় পড়াশুনা করেছি। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিতে ৮৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে প্রধানকে পাঠানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিশবা খাতুন বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। পানীয় জলের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেটাও মিটে যাবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের জানানো হয়েছে যে, এক সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। তারপর তাঁরা বিক্ষোভ তুলে নিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র