বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় কৃষক আনিসুর রহমান, ভবেন বর্মন বলেন, ২০ দিন আগে ধান বিক্রির জন্য তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলেন দপ্তরের আধিকারিকরা। আমরা প্রতিদিন আসছি আর ফেরত যাচ্ছি। গাড়ি নেই, এই বলে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ১০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। দপ্তর থেকে পাঁচ কুইন্টাল ধান নেওয়া হচ্ছে। বাকি পাঁচ কুইন্টাল ধান খোলা আকাশের নীচেই রাখতে হচ্ছে। আমাদের মনে হয়, খোলা বাজারে ধানের দাম কম থাকায় এক শ্রেণীর ফড়ের হয়ে কিছু মিল মালিক ও সরকারি আধিকারিক কাজ করছেন।
কৃষক টগর বিশ্বাস, দেবাশিস দাস বলেন, পরিষ্কার ধানেও প্রতি কুইন্টালে ৭-৮ কেজি করে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এটা দপ্তরের আধিকারিকদের দেখা দরকার।
গুমানিহাট কৃষক বাজারে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দায়িত্বে থাকা পারচেস অফিসার রমেন পাল বলেন, আগে আমাদের এখানে প্রতিদিন দু’টি করে গাড়ি আসত। ১১ তারিখ থেকে একটি করে গাড়ি আসছে। যার ফলে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি, কৃষকরা যাতে হয়রানির স্বীকার না হন।
মাথাভাঙা-২’র বিডিও কমলকান্তি তলাপাত্র বলেন, মিল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। মাথাভাঙা-২ ব্লক সহ সভাপতি জিতেন্দ্র বর্মন বলেন, মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে আমি ছিলাম। সেখানে ঠিক হয়েছিল খারাপ ধানে তিন কেজি করে ধলতা কাটতে পারবে মিল কর্তৃপক্ষ। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।
কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াংগেল লামা বলেন, গুমানিহাট কৃষক বাজারে ধান কিনতে কিছু সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। মিল মালিকরা কম গাড়ি পাঠানোতেই সমস্যা হয়েছে। তবে এখন নিয়মিত গাড়ি যাওয়ার কথা। একইসঙ্গে নিয়ম মেনে যাতে ধলতা নেওয়া হয় সেটা নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে কথা বলব।
ফড়েদের থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা মিল মালিকদের সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিতে বলেছি। কেউ নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।