পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি ফালাকাটায় তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির পঞ্চম বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই পঞ্চায়েত ও রাজবংশী সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও বিজেপি ভোটের মুখে তৃণমূলের এমন সম্মেলনকে কটাক্ষ করেছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেরপর এক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। রাজবংশী সম্মেলন করার পিছনে ভোট রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর সরকারি প্রকল্পের প্রচারে পঞ্চায়েত সদস্যদের আরও বেশি কাজে লাগাতে কালচিনিতে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, মানুষ জানে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দিয়ে তৃণমূল গায়ের জোরে পঞ্চায়েতগুলি দখল করেছিল। এবার বিধানসভা ভোটে সেই কাজে নামাতেই তৃণমূল তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে গোপন সম্মেলন করতে চাইছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। এবার বিজেপি সংগঠিত, রাজবংশী ভোটও আমাদের সঙ্গে থাকবে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালচিনিতে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে এই সম্মেলন হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। রাজবংশী সম্মেলন হবে ২ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পূর্ব কাঁঠালাবাড়িতে। জেলা স্তরে পরপর দু’টি সম্মেলনের জন্য তৃণমূল দলীয় স্তরে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন দলের অন্দরের খবর, সরকারি প্রকল্প নিয়ে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছেন। দলের সাংগঠনিক কাজে সময় না দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতেই তাঁরা ব্যস্ত থাকছেন। সেই জন্যই বিধানসভা ভোটের প্রচারে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের আরও বেশি করে ময়দানে নামাতেই এই সম্মেলন করতে উদ্যোগী হয়েছে দল।
এই সম্মেলন ছাড়াও রবিবার কোর কমিটির বৈঠকে ভোটমুখী জনসংযোগ বাড়াতে ৩ ফেব্রুয়ারি জেলার ১৩৭৬টি বুথের প্রতিটিতে ১০০টি করে দলীয় পতাকা তোলা, ৪-১০ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বুথে ন্যূনতম ১০০টি করে ভোট প্রচারের পোস্টার লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলীয় কর্মীদের ভোটের প্রচারে সক্রিয় করতেই এমন উদ্যোগ বলে দল সূত্রে খবর।