বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন জেলা পরিষদের শতাধিক কর্মী কাজ বন্ধ রেখে নিশীথরঞ্জন সরকার নামে ওই কর্মীর পাশে দাঁড়ান। তাঁদের দাবি, সহ সভাধিপতি যতক্ষণ না ওই নিগৃহীত কর্মীর কাছে ক্ষমা চাইবেন, ততক্ষণ তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন।
জানা গিয়েছে, নিশীথরঞ্জন সরকার জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত তেলের স্লিপ দিয়ে থাকেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যেসব কর্মীর বাড়ি বালুরঘাটে, তাঁদের মাসে ১০০ লিটার তেল দেওয়া হয়। কর্মীরা জানান, এদিন সহ সভাধিপতির গাড়ির চালক তেলের স্লিপ নিতে গেলে ওই কর্মী তাঁর হাতে ২০ লিটার তেলের স্লিপ ধরিয়ে দেন। তা জানতে পেরে চটে যান সহ সভাধিপতি। আরও বেশি তেলের দাবি করেন তিনি। এমনকী ওই কর্মীর ঘরে চলে আসেন। এরপর তাঁকে কটূ কথা বলেন ও ধাক্কাধাক্কি করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় জেলা পরিষদ ভবনে।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের ওই কর্মী নিশীথবাবু বলেন, সহ সভাধিপতির জন্য এই মাসে দু’বারে মোট ৮০ লিটার তেল দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিন তাই নিয়ম মেনেই আরও ২০ লিটার তেলের স্লিপ দেওয়া হয়। তারপরেও তিনি আরও তেল দাবি করেন। এরপর আমাকে কটূ কথা বলেন ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত।
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে সহ সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা বলেন, আমার সঙ্গে জেলা পরিষদের কারও কিছু হয়নি। কে অভিযোগ করেছেন, কেন করেছেন, কিছুই আমি জানি না।
জেলা পরিষদের এমপ্লয়িজ ইউনিটের জেলা সম্পাদক দিলীপ দত্ত বলেন, আমাদের সহকর্মীকে সহ সভাধিপতি যেভাবে হেনস্তা করেছেন, তার প্রতিবাদে এদিন আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। আমরা বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এবং সভাধিপতিকে জানিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা না চাইবেন, ততক্ষণ আমাদের কেউ কাজ করবেন না।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, শুনেছি, যে পরিমাণ তেল দেওয়ার কথা, সহ সভাধিপতি নাকি তার থেকে বেশি তেল চেয়েছেন। তা নিয়েই বচসা হয়েছে। আমাদের সরকারি কর্মীকে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ পেয়েছি। এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। আমি এই বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় বসব।
অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বলেন, কী হয়েছে তা জানি না। অভিযোগ উঠতেই পারে। আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, সরকারি অর্থ কীভাবে তছরুপ করা যায়, সেটা তৃণমূল জানে। তাই তিনি বেশি তেল চাইতে গেলে ওই কর্মী বাধা দেন। তারপর ওই বয়স্ক কর্মীকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি।