পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ ব্যাপারে ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার সারাবছরই জনমুখী কাজকর্ম করে। তবে গত ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ কিছু কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। সরকারকে নবান্ন থেকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রাস্তা নির্মাণ সহ অন্যান্য প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। ওইসব প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার জন্য পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর জন্যও বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে তাতে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। সরকার যে তাঁদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করছে, তা বুঝিয়ে বলা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অজান্তে কোনও প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে না। জেলা সফরে এসে ফিরহাদ হাকিম আধিকারিক এবং আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার মানুষের কাছে যত বেশি সম্ভব পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাকি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বহু মানুষ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেই যাতে মানুষ পরিষেবা পান তা দেখার জন্য সরকার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। দুয়ারে সরকারের পর পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। দুয়ারে সরকারের মতো অবশ্য এক্ষেত্রে শিবির করা হবে না। তবে সমস্যা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ব্লকে এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে যাচ্ছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিদিকে বলো কর্মসূচির আওতায় টোল ফ্রি নম্বরে বহু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারমধ্যে এলাকার সমস্যাগুলিকে বাছাই করে পৃথক তালিকা তৈরি হয়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগে বারোমাস রাজ্যবাসী চিঠি লিখে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। অনেকে সংবাদপত্রে এলাকাভিত্তিক সমস্যার কথা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আধিকারিকরা কোনও সমস্যাকেই ছোট করে দেখতে নারাজ। সমস্যাগুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে তাঁরা সচেষ্ট হয়েছেন।
মালদহ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের জেলায় মোটামুটি ৪০০’র মতো সমস্যা বাছাই করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন রয়েছে, যা আমাদের কাছে বর্তমানে নেই। বাকি সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফাইল চিত্র