কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম রঞ্জিত অধিকারী (৪০)। তিনি সাপ্টিবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, রঞ্জিতবাবু স্থানীয় পঞ্চায়েতের জোন সভাপতি ছিলেন। রবিবার রাতে এলাকায় একটি সভায় গিয়েছিলেন। দলীয় কর্মসূচি শেষ করে বাড়ি ফেরার সময়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে। মৃত ব্যক্তি ধানের ব্যবসা করতেন। বাড়িতে তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।
রঞ্জিত অধিকারীর খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতের ভাইপো অমল অধিকারী বলেন, রাতে জানতে পারি কাকা মারা গিয়েছে। আমি নিশ্চিত রাজনৈতিক শত্রুতাতেই কাকা খুন হয়েছে। আমরা চাই, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হোক।
ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সকালে ময়নাগুড়ি থানায় আসেন তৃণমূলের ১ ও ২ নম্বর ব্লক সভাপতি মনোজ রায় এবং শিবশঙ্কর দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়, দলের এসসি এসটি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস সহ অন্যান্যরা। বিকেলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর ময়নাগুড়ি তৃণমূল পার্টি অফিসে আনা হয়। সেখানে তাঁকে তৃণমূল কর্মীরা শেষশ্রদ্ধা জানান। পরে সাপ্টিবাড়িতে পার্টি অফিসে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস যাদের ধরেছে তারা আগেও রঞ্জিতকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। রবিবার রাতে অভিযুক্তরা তাঁর বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ স্থানীয় এক দোকানদার রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জিতবাবুকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি ওঁর বাড়িতে খবর দেন। এরপর সাপ্টিবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ময়নাগুড়ির-১ ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, কিছুদিন আগেই সাপ্টিবাড়ি এলাকার বুথ সভাপতিকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীবাহিনী হুমকি দিয়েছিল। সেই সময় বুথ সভাপতি মহেন্দ্র রায়কে ছেড়ে দিলেও তাঁর সঙ্গে থাকা রঞ্জিত অধিকারীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রবিবার এলাকায় সভা করা হয়। সেই সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির লোকজন রঞ্জিতকে কুপিয়ে মেরে ফেলল। এটা কিছুতেই মানতে পারছি না। আমরা এমন রাজনীতির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিজেপি ভোটের আগে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, আমাদের দল সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে বখরা নিয়েই ঝামেলা থেকে এ ঘটনা। এখন বিজেপিকে দুর্নাম করার চেষ্টা চলছে। আমরাও চাই, ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, আমরা রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করি। এদিন ধৃতদের আদালতে তুলে ১৪ দিনের হেফাজতে পেয়েছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত তৃণমূল নেতার শোকার্ত পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়। নিজস্ব চিত্র (ইনসেটে) মৃত রঞ্জিত অধিকারী।