বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লকে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়ে থাকে। ডিসেম্বর মাসে ভুট্টা জমিতে রোপণ করা হয়। প্রায় পাঁচ মাস পরে জমি থেকে ভুট্টা ঘরে তোলা হয়। মাস দু’য়েকে গাছ বেড়ে উঠেছে। এই সময়েই ভুট্টা খেতে কাটুই পোকার আক্রমণ হানছে। গাছের গোড়া ওই পোকা কেটে দিচ্ছে। ফল আর্মি ওয়ার্ম ভুট্টা গাছের পাতা ছিদ্র করে দিচ্ছে। কৃষিদপ্তরের মতে, এসব পোকার আক্রমণ অত্যাধিক পরিমাণে হলে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন কৃষকরা। যাতে কৃষকদের এর হাত থেকে রক্ষা করা যায় তার জন্য কৃষিদপ্তর ময়দানে নেমে পড়েছে। কৃষিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২.৫ শতাংশ জমিতে এই পোকার আক্রমণের খবর মিলেছে। তাই চাষিদের উদ্বেগের কিছু নেই। যতটা পারা যায় পোকা মারতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ময়নাগুড়ির ভুট্টা চাষি তাপস রায় বলেন, চলতি বছর ভুট্টা খেতে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। যে জন্য আমাদের ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। গাছের পাতা এমনকী গোড়া কেটে দিচ্ছে। আমি ১৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এই চাষের জন্য ঋণ নিয়ে জমি বানিয়েছি। এভাবে পোকার আক্রমণ হলে ফসল পাওয়া যাবে না। আমি কৃষিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে বলেছেন।
ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষিদপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণা রায় বলেন, ঘটনা জানতে পেরেই ভুট্টা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। এই মুহূর্তে চাষিদের কী করণীয় সেটা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে প্রতিষেধক আছে। তা কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। অত্যাধিক সমস্যা হলে দপ্তরে এসে চাষিদের যোগাযোগ করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে বলছি। ভুট্টা চাষ সাধারণত ১২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো হয়। বেলে মাটি, বেলে দোঁআশ, এঁটেল মাটিতে ভুট্টা ভালো হয়। তবে উপযুক্ত জল নিকাশি দোঁআশ মাটি ভুট্টা চাষের জন্য উপযুক্ত। জমি মাঝারি উঁচু হতে হবে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকলে ভুট্টা চাষে সমস্যা দেখা দিতে পারে।