কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবিষয়ে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরের অধিকারিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে। এতে আনারস চাষিরা খুশি। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, প্রায় এক দশক থেকেই সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
উদ্যানপালন দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলা আধিকারিক সুফল মণ্ডল বলেন, আমাদের দপ্তরের সেক্রেটারি কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে মিটিং করেছেন। বিধাননগরে একটি কোম্পানি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র করেছিল। কিন্ত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের দপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের সময় নেপাল সীমান্ত বন্ধ ছিল। এবার চাষিরা খুবই কম দামে আনারস বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি হলে চাষিদের অভাবী বিক্রি বন্ধ হবে।
উত্তরবঙ্গ আনারস চাষি সংগঠনের সম্পাদক অরুণ মণ্ডল বলেন, আনারস চাষিদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বললেও তার একটিও চালু হয়নি। ২০১২ সালে বিধাননগরে পাইনঅ্যাপেল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার হয়েছে, সেখানে বহুমুখী হিমঘর তৈরি হয়েছে, হোলসেল হাব, প্রশাসনিক ভবন তৈরি হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের পর চালু হয়নি। বাম জামানায় ২০০৫ সালে একটি বেসরকারি কোম্পানি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র করেছিল। কিন্তু এখন তা বন্ধ হয়ে আছে। আমরা এখনও চাই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হোক।
চাষিরা জানিয়েছেন, এবছর লকডাউনে অনেকে আনারস বিক্রি করতে পারেননি, জমিতেই নষ্ট হয়েছে। যাঁরা বিক্রি করতে পেরেছেন তাঁরা ন্যায্য দাম পাননি। বিভিন্ন সময় আনারসের দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। চাষের খরচও ওঠেনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ও চোপড়া, সোনাপুর এবং দার্জিলিং জেলার বিধাননগর ও জলপাইগুড়ি জেলায় আনারস চাষ হয়। লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে আনারস সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগের দাবি একদশক থেকেই উঠেছে।
আনারস চাষি সংগঠন জানিয়েছে, গত বছর উত্তরবঙ্গে সাড়ে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদন হয়েছিল। ১৭ হাজার চাষি আনারস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। দিল্লি সহ দেশের প্রায় সব রাজ্যেই আনারস রপ্তানি হয়। জেলায় প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠলে আনারস থেকে জ্যাম, জেলি, চাটনি সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে উৎপাদিত ফসল থেকে অন্যন্য জিনিস তৈরি করে চাষিরা নিজের ব্রান্ড বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। এই কাজের জন্য একাংশ যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ নিয়ে রেখেছে। প্রয়োজন হলে সরকারি উদ্যোগে ফের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে যুবক-যুবতীদের কাজে লাগান যেতে পারে। চাষিদের দাবি, সরকার এই বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ করুক।