গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই পরিস্থিতির মাঝে দাঁড়িয়েই রবিবার কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ (এ) সাংগঠনিক ব্লকের কমিটি ও ওই ব্লকেরই সাতটি অঞ্চলের দলীয় পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করলেন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এই ব্লক কমিটি ঘোষণার পর কোচবিহারে মোট ১৫টি সাংগঠনিক ব্লক কমিটি ঘোষণার কাজ সম্পূর্ণ হল। আরও সাতটি ব্লক কমিটি ঘোষণার কাজ এখনও বাকি। তবে জেলা সভাপতির দাবি, চলতি মাসের মধ্যেই বাকি ব্লক কমিটিগুলি ঘোষণা করা হবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, আমরা এদিন মাথাভাঙা-১ (এ) ব্লক কমিটি ও ওই ব্লকের অধীনে থাকা সাতটি অঞ্চল কমিটির পদাধিকরীদের নাম ঘোষণা করেছি। জেলায় আরও সাতটি ব্লক কমিটি ঘোষণা করা বাকি। আশা করছি, ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ওই ব্লক কমিটিগুলি ঘোষণা করা সম্ভব হবে। শীতলকুচির বিধায়ক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা হিতেন বর্মন বলেন, পার্টির গাইড লাইন মেনে ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করেই মাথাভাঙা-১ (এ) সাংগঠনিক ব্লকের কমিটি গঠন হয়েছে। জেলা সভাপতি এদিন দলীয় নিয়ম মেনে তা ঘোষণা করেছেন।
কোচবিহার জেলায় দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সরিয়ে পার্থবাবুকে জেলা সভাপতি করে দল। ছয় মাস আগে এই রদবদল হয়েছে। তারপর গত ৩ নভেম্বর প্রথমবার কয়েকটি ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর আরেক দফায় আরও কয়েকটি ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে অঞ্চল কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তৃতীয় ধাপে মাথাভাঙা-১ (এ) ব্লক কমিটি ঘোষিত হল। বিগত ব্লক কমিটিগুলি ঘোষণা হওয়ার পর দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছিল। এমনকী দলের বিধায়ক মিহির গোস্বামী কার্যত এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। পরে তিনি দলত্যাগ করে বিজেপিতে চলে যান। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গাতেও সমস্যা সামনে আসে। আর এইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার সামনে এসেছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেলায় ভালো ফল করেছিল। প্রায় সর্বত্রই তাদের ভোটবাক্সে ভালো প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, সেই সময় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি এখনকার তুলনায় তেমন ভালো ছিল না। সিতাই ও শীতলকুচি বিধানসভা দু’টি বাদে বাকি সব বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির লিড ছিল।
জেলায় এখনও পর্যন্ত যে সাতটি সাংগঠনিক ব্লকের কমিটি ঘোষণা হওয়া বাকি, সেগুলি মাথাভাঙা টাউন, মাথাভাঙা-১ (বি), সিতাই, দিনহাটা-১ (এ), তুফানগঞ্জ -১ (এ), কোচবিহার ১-(বি) ও শীতলকুচি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি ভালো ফল করেছিল। কিন্তু এই সব জায়গায় তৃণমূল এখনও পর্যন্ত তাদের কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি।