পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, অর্পিতা ঘোষ সোমবার সকালে বালুরঘাটে এসে পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্পিতা ও বিপ্লববাবুর মধ্যে অতীতের তিক্ত সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। এদিকে, অর্পিতাকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয়েছিল গৌতম দাসকে। জেলা সভাপতির পদে বসার পর বিপ্লববাবু ও গৌতমবাবুর মধ্যে একাধিকবার নানা ইস্যুতে ঠোকাঠুকি লেগেছে। ভোটের আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর গোছাতে এই ত্রিমূর্তির উপরই ভরসা করছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তিনজনেই অবশ্য একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিপ্লব মিত্র বলেন, রাজ্য আমাকে চেয়ারম্যানের পদ দিয়েছে। জেলায় দলের সংগঠনকে উজ্জীবিত করাই এখন আমরা মূল লক্ষ্য। জেলা কমিটিতে কিছু পরিবর্তন করা দরকার বলে যদি আমার মনে হয়, তবে গৌতমের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আলোচনা করেই রদবদল করব। সোমবার গৌতম আর অর্পিতার সঙ্গে আমি বৈঠক করছি। তবে ওই বৈঠক কোথায় হবে, সেব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, বিপ্লবদা পুরনো নেতা। তিনি আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। রাজ্য তাঁকে জেলা সংগঠনে পদ দিয়েছে। আশা করছি, আমরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারব। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা জেলার ছয়টি বিধানসভা আসনই উপহার দেব। সোমবার বিপ্লবদা আর অর্পিতার সঙ্গে সাংগাঠনিক ব্যাপারে কথা বলব। এদিকে, সোমবারের ওই বৈঠক নিয়ে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমি রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দু’দিনের জন্য জেলায় যাচ্ছি। সোমবার সকালে পৌঁছে যাব। গৌতম আর বিপ্লবদার সঙ্গে কথা বলে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লববাবুকে চেয়ারম্যানের পদ দিয়ে রাজ্য তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করার কৌশল নিলেও তা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকে গিয়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপি-ফেরত বিপ্লববাবুকে এখনও মেনে নিতে পারেননি। রবিবার মালদহ থেকে বিপ্লববাবুকে স্বাগত জানিয়ে জেলায় নিয়ে আসতে তাঁর অনুগামীরা ভিড় করলেও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কাউকে সেভাবে দেখা যায়নি। বিপ্লববাবু কমিটিতে পরিবর্তন করতে চাইছেন। তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছে একাংশ। ইতিমধ্যে জেলায় গৌতম দাস সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অঞ্চল থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত বৈঠক করে চলেছেন। তার মধ্যে বিপ্লববাবু চেয়ারম্যান হতেই তাঁর অনুগামীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন। বিপ্লব অনুগামীদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘জেলার মাথা বিপ্লব’ লিখে পোষ্ট করতে শুরু করেছেন। পাল্টা জবাব দিতে গৌতম অনুগামীরা পোস্ট করছেন, ‘আমি নয় আমরা, পদ নয় পতাকা। আমরা মমতার অনুগামী’। ইতিমধ্যেই ভার্চুয়াল জগতে এই বিতন্ডা জমে উঠেছে। তার মধ্যে আবার জেলায় আসছেন অর্পিতা।
এতদিন চাপানউতোর চলছিল বিপ্লব অনুগামী ও গৌতম অনুগামীদের মধ্যে। এর মধ্যে আবার অর্পিতা অনুগামীরাও সক্রিয় হয়ে উঠলে জট আরও বাড়তে পারে। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব কতটা সাফল্য পাবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।