বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি সংস্থা রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইলেকট্রিকের তার পরিবর্তন, ট্রান্সফরমার ইনস্টলেশন সহ বেশকিছু কাজ করে থাকে। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার মালদহে আসেন ওই আধিকারিক। তাঁর গাড়ির চালকের বাড়ি বীরভূমে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় কাজ পরিদর্শন করতে করতে অতনুবাবু মালদহে আসেন। গাড়িটি তিনি বীরভূম থেকে ভাড়া নেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ওয়াসিম আলম বলেন, শুক্রবার ইংলিশবাজার শহরের সানি পার্ক এলাকায় তাঁদের অফিস থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোন করে আর অতনুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা। যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ওই তাঁর গাড়ির চালকের সাথেও। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করার পরে শেষপর্যন্ত ইংলিশবাজার থানায় পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়। তাঁর পরিবারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ওই আধিকারিক কলকাতার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো বিষয়টির পিছনে আর্থিক লেনদেনের কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, সম্ভবত কেউ বা কারা ওই ব্যক্তিকে তাদের নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে সেই সম্পর্কিত কিছু সূত্র হাতে এসেছে।
ইংলিশবাজার থানার ইনসপেক্টর ইনচার্জ মদনমোহন রায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই তদন্তে খানিকটা অগ্রগতিও হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত ওই আধিকারিক ও তাঁর গাড়ির চালককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।