পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অসুস্থ প্রফুল্লবাবু বলেন, শুক্রবার আমার রুমে কয়েকজন শিক্ষক আসেন। তাঁদের সঙ্গে স্কুল পরিচালন সমিতির একজন অভিভাবক প্রতিনিধিও ছিলেন। তাঁরা হঠাইই দরজা বন্ধ করে দেন। সিসিটিভির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শূন্যপদে নিয়োগ সহ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁরা প্রথম থেকেই চেঁচিয়ে কথা বলতে থাকেন। আচমকাই অভিভাবক প্রতিনিধি তাপস পণ্ডিত আমাকে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। আমাকে মারার সময়ে কয়েকজন শিক্ষক সেখানে ছিলেন। তাঁরা কেউ বাধা দেননি। পরে ওরা সকলেই চলে যায়। আমি কোনওভাবে বাড়িতে যাই। সারা রাত যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারিনি। মাথায়, চোখে খুব যন্ত্রণা হওয়ায় সকালে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্টেট ফোরাম অব হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেসের কোচবিহার জেলা শাখার সম্পাদক দেবাশিস পাল বলেন, আমরা জানতে পারি প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল মজুমদারকে মারধর করা হয়েছে। এদিন তিনি আমাদের সহায়তা চান। এরপরেই হাসপাতালে গিয়ে ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা চাই, যিনি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার বিরুদ্ধে সঠিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি তথা তৃণমূলের খাগড়াবাড়ি অঞ্চলের সহ সভাপতি তাপসবাবু বলেন, স্কুলের এক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন কোনওরকম ছুটি না নিয়েই স্কুলে আসছেন না। বিষয়টি নিয়ে বহুবার বলেছি। কিন্তু কিছু হয়নি। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সেদিন উচ্চ বাক্যালাপ হয়। অন্যান্য শিক্ষকরাও সেখানে ছিলেন। এর বাইরে কিছু হয়নি। আমার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি কৃষ্ণেন্দু আইচ বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে টেলিফোন করে বলেন, পরিচালন সমিতির একজন সদস্য তাঁকে মারধর করেছে। আমি তাঁকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। যাঁর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ তাঁর সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আমি প্রধান শিক্ষককে পরিচালন সমিতির মিটিং ডাকার কথা বলেছি। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ সত্যি হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উপযুক্ত জায়গায় বলব। অভিযোগ মিথ্যা হলে সেই শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে আমি মনে করি।