গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলেজ হল্টে টেলিফোন একচেঞ্জ অফিসের পাশে কলেজ রোডে নেতাজির পূর্ণাবয়ব ব্রোঞ্জের মূর্তি বসানো আছে। প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে সেই মূর্তির সামনে গান স্যালুট দেওয়ার প্রথা চলে আসছিল। কিন্তু গত পাঁচবছর ধরে গান স্যালুট আর দেওয়া হচ্ছে না।
আলিপুরদুয়ার নেতাজি সুভাষ জন্মশতবর্ষ কমিটির সভাপতি বনবিহারী দত্ত বলেন, তৃণমূল সরকার আসার পর পাঁচবছর ধরে নেতাজি মূর্তির সামনে গান স্যালুট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। আমরা মনে করি এটা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো মহান দেশপ্রেমিকের অবমাননা। কমিটির আহ্বায়ক প্রাক্তন আরএসপি বিধায়ক নির্মল দাস বলেন, এই সরকার শুধু বক্তৃতা দেয়। কাজ কিছু করে না। এখন দুয়ারে সরকার নাম দিয়ে ক্যাম্প করছে। কিন্তু রাস্তায় সরকারের দেখা নেই। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ফের নেতাজি মূর্তির সামনে গান স্যালুট দেওয়া চালু করতে আমরা কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। পুলিসের কাছেও গান স্যালুটের দাবি জানানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, নেতাজি মূর্তিতে গান স্যালুট বন্ধ হওয়ার পিছনে আমাদের দলের কোনও হাত নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে জেলা পুলিস ও রাজ্য সরকারের বিষয়। আমিও চাই নেতাজি মূর্তির সামনে পূর্বের মতো এবারও গান স্যালুট দেওয়া হোক।
পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, টেলিফোন একচেঞ্জ অফিসের পাশে যেখানে নেতাজির মূর্তি আছে সেখানে প্রচুর গাছপালা আছে। পাশে রাস্তায় প্রচুর মানুষেরও যাতায়াত করে। ফলে সেখানে গান স্যালুট দেওয়া অসুবিধা আছে। তবুও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এদিকে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে আলিপুরদুয়ার নেতাজি সুভাষ জন্মশতবর্ষ কমিটি শহরের প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই দিন কমিটির তরফে নেতাজি মূর্তির সামনে কবি সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে কলেজ হল্ট এলাকায় কলেজ রোডের নেতাজি মূর্তি। -িনজস্ব চিত্র