পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি সুষ্ঠুমতো নিয়ন্ত্রণ করতে চালু করা হয়েছে কো-উইন অ্যাপস। এই অ্যাপসে উপভোক্তাদের নামের তালিকা রয়েছে। কবে, কোথায় উপভোক্তাকে ভ্যাকসিন প্রদান করার কথা তাও আছে অ্যাপসে। কিন্তু এই অ্যাপসই এদিন দার্জিলিং জেলায় কাজ করেনি। ফলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে ম্যানুয়ালি টিকাদান কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল ও খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে এই কর্মসূচি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ৫০০ জনকে টিকাকরণের টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়েছে ৪৯৮ জনকে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন উপভোক্তা আসেননি। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, অ্যাপস সচল না থাকলেও ম্যানুয়ালি ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নির্ধারিত উপভোক্তা তালিকার বাইরেও অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দুপুরে এখানে হাজির হন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক শশাঙ্খ শেঠি, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় সহ আধিকারিকরা। ভিডিও কনফারেন্সে এখানকার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি সম্পর্কে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাখ্যায়।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজে তালিকায় নাম থাকা ১০-১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেননি। তাঁদের পরিবর্তে ডেকে ডেকে ডাক্তার ও নার্সদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য বলেন, প্রথমদিন টিকাকরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুমতোই হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, কোভিড যুদ্ধে শামিল সকলের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি, ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কালিম্পং জেলাতেও অ্যাপস ছিল অচল। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, এখানেও ম্যানুয়ালি টিকাদান কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। এখানকার একটি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১০০ জনকে। যারমধ্যে ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী তালিকার বাইরে ছিলেন। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রকাশকুমার বাড়ই বলেন, সার্ভারের সমস্যায় অ্যাপস কাজ না করলেও কর্মসূচির প্রথমদিনের টার্গেট পূরণ করেছি।
প্রথমদিন টার্গেটের থেকে অনেক কম টিকাকরণ হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার পাঁচটি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণের টার্গেট ছিল ৫০০ জনকে। সেই মতো তালিকা প্রস্তুত করে শুক্রবার উপভোক্তাদের কাছে এসএমএস পাঠানো হয়। যাঁরমধ্যে ২৮৫ জন টিকা গ্রহণ করলেও শিবিরে হাজির হননি ২১৫ জন। ভয় কিংবা সচেতনতার অভাবে তাঁরা টিকা গ্রহণ করেনি বলে ওয়াকিবহল মহলের ধারণা। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রমেন্দ্রনাথ প্রমাণিক বলেন, এদিন নির্দিষ্ট উপভোক্তার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। বাকিরা কেনা শিবিরে এলেন না, খোঁজখবর নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় রাত পর্যন্ত চলেছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলার ন’টি জায়গায় শিবির করা হয়। তাতে ৯০০ জনকে ভ্যাকসিন প্রদানের টার্গেট নেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ৭০২ জন। তখনও জেলার তিনটি জায়গায় টিকাকরণের কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলায় চারটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয় প্রায় ৪০০ জনকে। জেলার কামাখ্যাগুড়ি ব্লক হাসপাতালে রাত পর্যন্ত শিবির চলে। পরিকাঠামোগত কিছু ত্রুটি থাকায় এখানে টিকাকরণ কর্মসূচি কিছুটা ধীর গতিতে চলেছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কোচবিহারের এম জে এন মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়েছে টিকা। -িনজস্ব চিত্র