পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহারাজা হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতির অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী পড়ুয়াদের মধ্যে চাল,আলু, ডাল সহ মিড ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করা শুরু হয়। প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার পরিচালন সমিতির সমস্ত সদস্যকে অন্ধকারে রেখে সরকার নির্ধারিত আলুর মূল্য থেকে কম দামে আলু ক্রয় করেন এবং সেই আলু বাবদ ব্যবসায়ীদের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করেন। সভাপতির আরও অভিযোগ, মিড ডে মিলের খাদ্য দ্রব্য সরবরাহকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
জগবন্ধুবাবু বলেন, স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের কাউকে না জানিয়েই সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে কম দামে দুই আলু ব্যবসায়ীর থেকে আলু কেনেন প্রখান শিক্ষক। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এভাবেই সরকার নির্ধারিত আলুর মূল্য থেকে কম দামে আলু ক্রয় করেন। এপ্রিল ও মে মাসে আলুর জন্য সরকার দিয়েছে ৮০ হাজার ৬৪০ টাকা। এদিকে আলু কেনা হয়েছে ৬৩ হাজার ১৪৭ টাকা দিয়ে। বাড়তি টাকা যায় সেই ব্যবসায়ী ও প্রধান শিক্ষকের পকেটে। আবার জুলাই থেকে নভেম্বর মাস অবধি আলু ব্যবসায়ীর নাম করে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৪৬ টাকার চেক কাটেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সেই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তিনি কোনও চেক পাননি।
নগদ ২ লক্ষ ৭৭৫ টাকা পেয়েছেন। তাহলে বাকি টাকা গেল কোথায়? তাই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) নিতাইচন্দ্র দাসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজ করেছি। উত্তর দিনাজপুর জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস বলেন, রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।