গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও উপ কৃষি অধিকর্তা বলেন, জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে দু’এক জায়গায় ধসা লাগলেও লাগতে পারে। কিন্তু ব্যাপকভাবে জেলায় এখনও কোথাও আলুতে ধসা রোগ ছড়ায়নি। ফলে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা ছুটির দিনেও এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছি। ধসা নিয়ে ব্লক কৃষি আধিকারিকদের দ্রুত জেলায় রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে ২০ হাজার হেক্টর হয়েছে। গত বছর জেলায় ৪ লক্ষ ১৪ হাজার মেট্টিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। গত বছর জেলায় আলুতে ধসার হানাদারি হয়নি। এবার বিছিন্নভাবে ধসার প্রকোপ শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যেই উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভবনা বা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কৃষিদপ্তর সরাসরি স্বীকার করতে না চাইলেও জেলা জুড়ে আলু চাষিরা জানিয়েছেন, আলুতে নাবি ধসা রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে। জেলার ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার-১,২ ও কুমারগ্রাম ব্লকে ধসার প্রকোপ শুরু হয়েছে। আলু চাষিরা বলছেন, ধসা ছাড়াও কোথাও কোথাও আলু গাছের ডাঁটা শুকনো ও পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার রোগও দেখা দিয়েছে।
ধসার প্রকোপ শুরু হওয়ায় কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা সরকারি ছুটির দিনেও এলাকায় এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন। স্বয়ং জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা গত ১২ জানুয়ারি আলুর ধসা রোগ খতিয়ে দেখতে গোটা আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক চষে বেরিয়েছেন। ব্লক কৃষি আধিকারিকরাও কেউ কেউ সরকারি ছুটির দিনেও এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ধসা রুখতে চাষিদের পরামর্শও দিচ্ছেন।
তবে কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির জন্য কৃষি আধিকারিক ও দপ্তরের কর্মীদের এলাকায় আলুর ধসা পরিদর্শনের কাজে প্রচণ্ড হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেও তাঁদের থাকতে হচ্ছে।