কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
শুক্রবার ব্লকের শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢিপধুরা এলাকায় অনুন্নয়নের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঢিপধুরা থেকে চুনিয়াঝোরা চা বাগান পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাজ্য সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। সেটিকে দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে। সকাল ৯টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। এই অবরোধ বিক্ষোভে শামিল হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা অমিতাভ রায় ভোট বয়কটের ডাক দেন। যদিও তাঁর দাবি, এটি কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। গ্রামবাসীদের স্বার্থেই এই ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, তৃণমূলের আমলে যে কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি এটা আমরা এতদিন ধরে বলে এসেছি। এখন তৃণমূলের নীচুতলার নেতারা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিনের ঘটনা তারই দৃষ্টান্ত। অমিতাভবাবু বলেন, আমি স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে গ্রামবাসীদের স্বার্থেই এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি। বিধানসভা ভোটের আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে। সরকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মূল্যবান ভোট গ্রামবাসীরা বয়কট করবেন।
আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপ দাস বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে ভোট বয়কটের বিষয়টি নিয়ে আমি অমিতাভবাবুর সঙ্গে কথা বলব। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি পরিতোষ বর্মন বলেন, যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কোনও অভিমান থেকে এদিনের এই ঘটনাটি হয়েছে বলে মনে হয়। বিষয়টি নিয়ে বসে আলোচনা করব।
এদিন সকাল থেকে অবরোধ বিক্ষোভের জেরে ওই রাজ্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। শামুকতলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে ব্লক প্রশাসন এবং পূর্তদপ্তরের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরা আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ উঠে যায়। আলিপুরদুয়ার জেলা পূর্তদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সড়ক) অভিজিৎ বারুই বলেন, টেন্ডার হওয়ার পরেও ওই রাস্তার সংস্কার কাজ বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখনও ওয়ার্ক অর্ডার আসেনি। এলে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হবে।
