সংবাদদাতা, মালদহ: বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে এক মাদক ডিলার ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করল ইংলিশবাজার থানার পুলিস। তাদের থেকে ব্রাউন সুগার ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। সেই টাকা সে মাদক কেনার জন্য নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন এসইউভি গাড়ির চালক। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ১১ লক্ষ টাকা। এছাড়া যে গাড়িটি করে ইংলিশবাজারের মহদিপুর এলাকায় তারা এসেছিল, সেই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইংলিশবাজার থানার ইনসপেক্টর ইনচার্জ মদনমোহন রায় বলেন, বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহদিপুরে কাছে জাল পাতে ইংলিশবাজার পুলিসের একটি বিশেষ দল। সেই দলে তিনজন পুলিস আধিকারিক ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে চলে আসে একটি এসইউভি। ওই গাড়িটিতে চালক ছাড়া দু’জন ছিল। কিন্তু পুলিস ফাঁদ পেতেছে বুঝতে পেরে চম্পট দেয় একজন। তবে পুলিসের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় ওই গাড়ির এক যাত্রী প্রসেনজিৎ ঘোষ। সেইসঙ্গে পুলিস গ্রেপ্তার করে গাড়িটির চালক নাসেরুল ইসলামকেও। ধৃতরা দু’জনই বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে ওই ব্রাউন সুগার ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করেন পুলিস আধিকারিকরা।
ইংলিশবাজার থানার আইসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে বিপুল পরিমাণে মাদক কেনার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মাদক সংগ্রহ করে কালিয়াচকে নিয়ে যাওয়া হতো। সেজন্যই গাড়ি নিয়ে এসেছিল তারা। ওই মাদক কাদের কাছ থেকে কেনা হতো, মাদক কোথায় নিয়ে যাওয়া হতো, সেই সব কিছুই জানার জন্য ধৃতদের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধৃতরা বিপুল পরিমাণ মাদক কেনার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। সুতরাং মনে করা হচ্ছে ব্রাউন সুগারের ব্যবসার তারা বড়সড় ডিলার। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য চাঁইদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।