বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার শহরের যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে রথবাড়ি এলাকায় দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজট লেগেই থাকে। সমস্যায় পড়তে হয় নাগরিকদের পাশাপাশি ট্রাফিক কর্মীদেরও। আবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রথবাড়ি মোড়ের উপর দিয়েই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাস ছাড়ে। এছাড়া দূরপাল্লার বাসগুলিও এখান থেকেই ছাড়ে। একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য সব ধরনের যানবাহন মেলে রথবাড়ি থেকেই। ফলে প্রতিদিনই রথবাড়ি এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। নাকাল হন সাধারণ মানুষ।
জেলা ট্রাফিক পুলিসের অফিসার ইনচার্জ বিটুল পাল বলেন, রথবাড়ি এলাকায় ট্রাফিক দ্রুতগামী করতে ও যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টেশন রোডের উপরে যে অটো রিক্সা স্ট্যান্ডটি রয়েছে, সেটিকে কানির মোড়ের দিকে কিছুটা সরানো হবে। বর্তমানে যেখানে অটো স্ট্যান্ডটি রয়েছে, সেখানে রাস্তা অত্যন্ত অপ্রশস্ত। তাই গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। প্রতিদিন তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। ওই রাস্তায় যানজট হলে তার প্রভাব এসে পড়ছে সংলগ্ন রথবাড়িতেও। যাত্রীস্বার্থ ও তাঁদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই ওই অটো স্ট্যান্ডটিকে কিছুটা সরানোর কথা হয়েছে। উল্লেখ্য, রথবাড়িতে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। আবার ওই এলাকার উপর দিয়েই প্রায় সব বাস যায়। ফলে রাস্তা আটকে বাসগুলি দাঁড়ানোর কারণে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই কালিয়াচকগামী বাসগুলিকে মালদহ কলেজের পশ্চিমদিক সংলগ্ন এনসিসি অফিসের কাছে ও গাজোলগামী বাসগুলিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেলের দিকে গিয়ে যাত্রী তোলা বা নামানোর কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও, জাতীয় সড়কের একটি লেনের বড় অংশজুড়ে বসে ফলের বাজার। ওই বাজারের কারণে লেনটি বেশিরভাগ সময় জনাকীর্ণ হয়ে থাকে। ব্যাহত হয় ট্রাফিক। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ওই বাজারটির স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার ট্রাফিক ওসি।