পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অনেকদিন আগেই উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তিনি শেরপা, তামাং, গুরুং, লেপচা প্রভৃতি সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক পৃথক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছেন। এবার সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলির একাংশের নেতৃত্বেই বৌদ্ধরা শামিল হচ্ছেন তৃণমূলে। এজন্য আজ, উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজাধানী শহর শিলিগুড়িতে মিছিল ও সমাবেশ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্বাস্তু সেল।
সংগঠন সূত্রের খবর, পাহাড় তো বটেই, সমতলের শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছেন বৌদ্ধরা। প্রায় মাস দেড়েক ধরে চেষ্টা চালিয়ে সমতলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সংগঠিত করা হয়েছে। আজ শহরের জোড়া মহানন্দা সেতুর কাছে জমায়েত হবেন তাঁরা। দলীয় ঝান্ডা তুলে দেওয়ার পর তাঁদের নিয়ে মিছিল করা হবে। মিছিলে পূর্তমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী এবং অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী হাঁটবেন। মিছিল শেষে বাঘাযতীন পার্কে একটি সমাবেশ করা হবে।
তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেলের রাজ্য সভাপতি মুকুল বৈরাগ্য বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি, সিএএ সহ বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে লড়াই করছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লড়াইতে এবং মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই বৌদ্ধরা তৃণমূলে আসছেন। তাছাড়া, তাঁদের বিকাশে মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন বোর্ড গড়েছেন, সে সম্পর্কে তাঁরা এতদিন অন্ধকারে ছিলেন। তাঁদেরকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের দিকে ধরে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। এদিকে, ভোটের মুখে তৃণমূলকে ভাঙতে তৎপর হয়ে উঠেছে গেরুয়া বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা উত্তরবঙ্গের এক বিধায়ককে দলে টেনেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বৌদ্ধরা ঘাসফুল শিবিরে ঝোঁকায় কার্যত চাপে পড়েছে পদ্মশিবির। যদিও, বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক আনন্দময় বর্মন বলেন, মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে। কাজেই, এধরনের বিভাজনের রাজনীতি করে তৃণমূল নিজেদের গদি বাঁচাতে পারবে না।