কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, মুক্তমঞ্চটি কেন এভাবে পড়ে আছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশে সরকারি ওই মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, আমি যতদূর জানি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশে তৈরি মুক্ত মঞ্চটি এখনও পুরসভাকে হস্তান্তরই করেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
প্রসঙ্গত, প্যারেড গ্রাউন্ডের একাংশে সবুজ নষ্ট করে এই মঞ্চ তৈরির অভিযোগে এমনিতেই শহরের নানা মহলে ক্ষোভ রয়েছে। যদিও শহরের ওই মাঠে বছরভর নানা সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠান লেগে থাকে। কিন্তু সরকারি অর্থে তৈরি ওই মুক্তমঞ্চ কেন তৈরি হয়ে এভাবে বছরের পর বছর পড়ে আছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকার নাট্যকর্মী পরিতোষ সাহা বলেন, সরকারি অর্থে তৈরি ওই মুক্ত মঞ্চ সন্ধ্যার পর এখন সমাজবিরোধীদের আড্ডায় পরিণত হয়। অথচ প্রশাসনের তাতে কোনওরকম হেলদোল আমরা দেখতে পাই না। ওই সরকারি খোলা মঞ্চটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার মতো উপযুক্ত জায়গাও নয়। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের সম্পাদক অমল দত্ত বলেন, ওই সরকারি মঞ্চটি যেখানে হয়েছে প্যারেড গ্রাউন্ডের সেই অংশটি বর্ষায় জলকাদায় ভরে যায়। অপরিকল্পিতভাবে মঞ্চ তৈরি করে শুধু সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। মঞ্চটি এলাকার মানুষের কোনও কাজেই আসবে না।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অর্থে প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশে বাগান, গার্ডেনিং ছাতা, নিকাশি নালা ও কালভার্ট তৈরির কাজ হয়েছে। এই কাজের সঙ্গেই গোলাকার এই মুক্ত মঞ্চটিও তৈরি করা হয়। দর্শকাসনের জন্য মঞ্চে কংক্রিটের গ্যালারিও তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু মঞ্চটি চালু না হওয়ায় সন্ধ্যার পর সেটি এখন সমাজবিরোধীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। ওই মঞ্চের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তা অনেকে এড়িয়ে চলেন। নিজস্ব চিত্র