কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে তাঁর নির্দেশে গ্রেটারের নেতা কর্মীরা সংগঠনকে মজবুত করতে গত কয়েক মাস ধরে সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছেন। বুথ কমিটি থেকে অঞ্চল, ব্লক কমিটিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি সংগঠনের কর্মীরা ছোট ছোট বৈঠকও শুরু করেছেন। গ্রেটার নেতাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন জেলায় ৮ থেকে ১০টি করে বৈঠক করছেন। সম্প্রতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো জিসিপিএ মহিলা শাখা সংগঠনও তৈরি করেছে। গতবছরই কামতাপুর পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা কেপিপি ও জিসিপিএ মিলিতভাবে ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চ গড়েছে।
গ্রেটার নেতাদের দাবি, ভোটে লড়াই করে জনপ্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠানো না গেলে তাদের সংগঠনের দাবি পূরণ হবে না। সেজন্য তারা একুশের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সংগঠনকে মজবুত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বংশীবদন বর্মন বলেন, কয়েক বছর ধরে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। এখন সেটা অনেক বেশি গতি পেয়েছে। প্রচুর মানুষ প্রতিদিন আমাদের সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হওয়ার আবেদন করছেন। তাছাড়া শুধু বিধানসভাই টার্গেট নয়, ভারতভুক্তির চুক্তি যতদিন না কার্যকরী হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগঠনের কাজ করছি।
যদিও এবারের নির্বাচনে বংশীবদনবাবু তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাঁদের সংগঠনের অন্দরের খবর, তিনি যে এবারের বিধানসভা ভোটে লড়বেন সেটা একপ্রকার চূড়ান্ত। শুধু বংশীবাবুর প্রার্থী হওয়াই নয়। এবারের ভোটে উত্তরবঙ্গের একাধিক আসনে জিসিপিএ’র প্রার্থী বাছাইয়ের তৎপরতা শুরু হয়েছে। সেজন্য তারা ভোটের আগে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় সদস্য সংগ্রহে নেমেছে।
বাম জামানায় জেলে বন্দি থাকাকালীন ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বংশীবদনবাবু কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেইসময় তিনি ৩৭ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিলেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বংশীবদন বর্মন দিনহাটা কেন্দ্রে প্রার্থী হলে এই কেন্দ্রের রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফাইল চিত্র