পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দা নদীর পাশেই রয়েছে পুরসভার ওই স্টেডিয়ামের মাঠ। সেই মাঠে বড় বড় কাপড় শুকাতে দেওয়া হচ্ছে। মাঠ কার্যত দখল হয়ে থাকায় খেলাধুলো করা যাচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, আগে সকাল ও বিকালে অনেকেই ওই মাঠে খেলাধুলো করত। বয়স্করা অনেক সময় হাঁটাহাঁটি করতেন। অবিলম্বে কাপড় সরানোর ব্যবস্থা করুক পুর প্রশাসন। ওই মাঠটির পরিকাঠামো উন্নয়ন করার দাবিও তুলেছেন বাসিন্দারা। অথচ বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন খোদ পুর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ। এব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, শুনেছি মাঠটি এখন নাকি বেশিরভাগ সময়েই কাপড় শুকানোর পাশাপাশি অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ক্রীড়াপ্রেমীরা মাঠে এসে সমস্যায় পড়ছেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। এমনিতেই পুরাতন মালদহ শহরে পুরসভার মাঠের সংখ্যা খুব কমই রয়েছে। যে কারণে খেলাধুলো বা শরীরচর্চা আমাদের এখানে সে অর্থে খুব কমই হয়। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মাঠে প্রতিদিন এলাকার মানুষ খেলাধুলো ও শরীরচর্চার জন্য আসেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকারই কয়েকজন ডেকরেটর তাঁদের মণ্ডপ তৈরির কাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী নদীতে ধুয়ে ওই মাঠের উপর মেলে রাখছেন বা ফেলে রাখছেন। এখন শীতের মরসুম। অন্যান্য বছর এসময় সকাল-সন্ধ্যা তো বটেই, সেইসঙ্গে দুপুরবেলাও অনেকেই খেলাধুলো করতেন। কিন্তু এবছর তা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠে ঘাসের উপর কাপড় শুকাতে দেখে অনেকে ঘুরে যাচ্ছেন। এলাকার খুদেদের মনোরঞ্জনের উপায় থাকছে না।
মালদহ ডেকোরেটর্স সংগঠন অবশ্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এই কার্যকলাপ সমর্থন করছে না। সংগঠনের অন্যতম সদস্য চন্দন দে বলেন, খেলার মাঠে কখনই কাপড় শুকানো উচিত নয়। ক্রীড়াপ্রেমীদের কথা ভেবে এটি বন্ধ করা দরকার। তবে আমরাও মাঝেমধ্যে কাপড় শুকানোর জন্য এই মাঠ ব্যবহার করি। সেখথা অস্বীকার করার নয়। আমরা সকলকে অনুরোধ করব যাতে তা আর না করা হয়।
মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা বিনয় দাস বলেন, মহানন্দা নদীর ব্রিজপাড়া স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো এখন আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। সেই পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ সেটি কারও কাজে আসছে না। এর জন্য দায়ী কে? যে উদ্দেশ্যে স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে, তার বদলে, যদি সেটি ব্যবসায়ীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে শরীরচর্চা-খেলাধুলো কোথায় হবে? পুরসভার বিষয়টি দেখা উচিত। এলাকার এক খুদে চিরঞ্জিৎ ঘোষ বলে, প্রতিদিনই মাঠ ভর্তি কাপড় থাকে। আমরা খেলতে পারি না। মাঠে গিয়ে ঘুরে চলে আসি।