বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের প্রায় কুড়ি হাজার পরিবারের কাছে নতুন বছরে পৌঁছে যাবে শুভেচ্ছা বার্তার গ্রিটিংস কার্ড ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মসূচির ক্যালেন্ডার। ইতিমধ্যেই গ্রিটিংস কার্ড ও ক্যালেন্ডার ছাপানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে, করোনা যোদ্ধাদের পাশাপাশি দুঃস্থ পরিবারের প্রসূতিদের নিয়েও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। করোনা যোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রসূতিদের দিয়েও কেক কাটানো হবে। সেজন্য আগে থেকে অর্ডার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ১০ কেজি ওজনের বিশেষ বড়দিনের কেক।
হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এবার করোনা থাকায় আমরা সেইমতো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি। আমরা যে করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে রয়েছি সেই বার্তা দিতে বড়দিনকে বেছে নিয়েছি। আমরা তাঁদের সম্মানিত করব। এছাড়াও ব্লকের দুঃস্থ প্রসূতিদের বড়দিনের দিন কেক খাওয়ানো হবে। এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে আমরা জোর দিয়েছি। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে আমরা কি কি কাজ করি, সেসব ব্যাপারেও আমরা এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করতে চাই। তাই আমরা তাঁদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কি কি কাজ করব তার একটি তালিকাও বাড়িতে বাড়িতে পাঠাব। এছাড়াও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ফোন নম্বর, মাতৃযানের ফোন নম্বর, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ফোন নম্বর ও সংশ্লিষ্ট এলাকার আশা কর্মীর নম্বর দেওয়া থাকবে। পালস পোলিও’র দিন থেকে শুরু করে অন্যান্য টিকাকরণের তারিখ জানানো হবে।
হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দেও। তিনি বলেন, হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল বরাবরই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে।
এবারে তারা করোনা যোদ্ধাদের নিয়ে বড়দিন পালন করবে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করার জন্য যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়েই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় কি না, সেবিষয়ে আমরা আলোচনা করব।
হরিরামপুর হাসপাতালের নার্স করোনা যোদ্ধা জিনুর রাইন বেগম বলেন, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারপর সুস্থ হয়ে আবার চিকিৎসা পরিষেবা দেওার কাজ করে চলেছি হাসপাতালে। আমাদের নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর যে ভেবেছে, এতেই আমরা আনন্দিত। এর ফলে আমরা কাজ করার জন্য আরও অনুপ্রেরণা পাব।