গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গাজোল ব্লক সদরে অবস্থিত ওই হাসপাতালের উপর স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য নির্ভর করেন গোটা গাজোলের বাসিন্দারা। সেই হাসপাতালেই রোগীর পরিজনদের প্রতীক্ষা করার সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। বিশ্রাম নেওয়া ও রাত কাটানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার দাবি অনেকদিনের। গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার অঞ্জন রায় বলেন, রোগীর আত্মীয়দের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি চত্বরে একটি পার্কিং করার জায়গারও ভীষণ প্রয়োজন। গাজোল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাজল কুণ্ডু বলেন,পঞ্চায়েতের ফান্ড খুব সীমিত হয়। এগুলি স্বাস্থ্যদপ্তর দেখলেই ভালো হয়। গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, রাতে রোগীর আত্মীয়দের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির কাছে অনুরোধ করা হবে। আর গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জয়ন্তকুমার ঘোষ বলেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে রাতে থাকার ঘর তৈরি করা নিয়ে আমাদের কোনও পরিকল্পনা নেই।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, ওইটুকু জায়গায় গাদাগাদি করে ভাত খাচ্ছেন একাধিক রোগীর আত্মীয়রা। কেউ একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে সহদেব সরকার ও গৌর সরকার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, দূর থেকে এসেছি। বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে এখানে কোথায় বসব? ভাতের থালা কোথায় রাখব সেটাই বুঝতে পারছি না। জায়গা না পেয়ে খোলা আকাশের নীচেও বসেছিলেন অনেকে। বললেন, উপায় নেই। খোলা আকাশের নীচে থাকতে হবে, এই শীতেও। নিজস্ব চিত্র