কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সরকারের নির্দেশ মতো প্রথম দফায় স্বাস্থ্য বিভাগের সমস্ত কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। দ্বিতীয় দফায় জেলার কো মর্বিডিটিযুক্ত রোগীদের সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য প্রশাসনের তরফে জেলার এমন রোগীদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় ২৮ হাজার জনের নাম রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রয়োজনে জেলায় ভ্যাকসিন মজুত রাখা ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হবে।
এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। জেলায় ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়াও ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য প্রায় ৭০০ জন ইঞ্জেকশন এক্সপার্টকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় সমস্ত কাজই শেষ। এখন ভ্যাকসিন এলেই তা দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জেলার সব স্বাস্থ্য কর্মীদের দিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তা অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এব্যাপারে জেলায় করোনা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স বৈঠকও করেছে। প্রথম দফায় ভ্যাকসিন প্রাপক হিসেবে ১৫,৪২৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় আশা কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম রয়েছে।
প্রথম দফায় স্বাস্থ্য কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় কাদের দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখনই বলা হয় কোমর্বিডিটিযুক্ত রোগীদের কথা। আশাকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা জেলাজুড়ে সমীক্ষা করেন। সেখানে জেলা জুড়ে ৫০ বছরের বেশী বয়সী ওইরকম প্রায় ২৮ হাজার জনের নাম উঠে আসে। ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের মতো রোগ সহ বিভিন্ন স্থায়ী রোগে আক্রান্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদেরই দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়াও জেলার প্রায় ১৭ লক্ষ বাসিন্দাকে ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ভ্যাকসিন কবে আসবে তা নিয়ে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে অধীর আগ্রহ দেখা দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে ভ্যাকসিন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই মতো জেলায় ভ্যাকসিন মজুত রাখার জন্য তোড়জোর শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লক হাসপাতাল, মহকুমা ও জেলা হাসপাতালে আগে থেকেই প্রসূতি ও শিশুদের ভ্যাকসিন রাখার জন্য ১২টি কোল্ড চেন পয়েন্ট ছিল। সেই কোল্ড চেন পয়েন্টের সংখ্যা আরও ১০টি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও একটি বড় ওয়াক-ইন কুলারে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন মজুত রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ভ্যাকসিন আসার দুই সপ্তাহের মধ্যেই যাতে প্রথম পর্যায়ে তা প্রয়োগের কাজ শুরু করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।