কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মাল মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে বালি, পাথর তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমরা এরমধ্যেই অভিযানে যাব। কেউ সেতুর পিলার থেকে ১০০ মিটারের ব্যাসার্ধের মধ্যে বালি, পাথর তুললে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
ভূমি দপ্তরই নয়, এটা একবারে বেআইনি কাজ বলে জানিয়েছেন রেলের এক ইঞ্জিনিয়ারও। তিনি জানিয়েছেন, এতে সেতুর ক্ষতি হবে। যেকোনও সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া নদীবক্ষ থেকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি, পাথর তোলা হলে নদীতে গভীর গর্ত হয়। এতে নদীতে স্নান করতে নেমে বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে। বেআইনিভাবে বালি, পাথর তোলার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ডুয়ার্সের একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। চালসার একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এমন বেআইনি কাজকর্ম চলছে। এ জন্য বর্ষার সময় নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে নিচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষায় ডুয়ার্সের নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠে পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত করে। এ জন্য সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। ডুয়ার্সের প্রায় সব নদীতেই লরি, ছোট গাড়ি নামিয়ে শ্রমিক দিয়ে বালি, পাথর তোলা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, নদীতে মাটি কাটার মেশিন নামালেই প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু দিনের পর দিন সেতুর পিলারের কাছে গাড়ি নামিয়ে বালি তোলা হলেও প্রশাসন কিছু করছে না। এতে পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেকোনও সময়ে একসঙ্গে একাধিক ভারী যানবাহন সড়ক সেতুতে উঠে পড়লে সেতু ভেঙে পড়তে পারে। পাশাপাশি রেল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নিজস্ব চিত্র