কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে ওই ঘটনা ফের চোখ খুলে দিয়েছে পুলিসের। রাতে নেশা করে গাড়ি চালানোর ঘটনা যে হারে বাড়ছে, তাতে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। নিউ জলপাইগুড়ির গেটবাজারে নেশাগ্রস্ত গাড়িচালক রাস্তা থেকে গাড়ি সরাসরি একটি বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। তাতে ওই বাড়ির বাসিন্দা সুনীলকুমার রাউতের মৃত্যু হয়। বাড়ির আরও কয়েকজন সদস্যও জখম হন ওই ঘটনায়। ঘটনার পর উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িটি ভাঙচুর করেন। এমন ঘটনায় দিশাহারা রাউত পরিবার। গভীর রাত পর্যন্ত গেটবাজারে উত্তেজনা থাকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তিনবাত্তি মোড়ে এলাকার লোকজন কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান।
অন্যদিকে, চম্পাসারিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবতীর। প্রধাননগর থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী রাতে ভক্তিনগর চেকপোস্ট এলাকা থেকে চম্পাসরির দিকে স্কুটারে চেপে ফিরছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, জাতীয় সড়কে পিছন থেকে একটি লরি এসে তাঁদের স্কুটারটিতে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা একজন জখম হন।
বুধবার সুনীল রাউতের মৃত্যুর খবর পেয়ে গেটবাজারে আসেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সমতল) সভাপতি রঞ্জন সরকারও মৃত যুবকের বাড়িতে আসেন। তাঁরা সকলেই মৃতের পরিবারে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। অশোকবাবু বলেন, ঘটনার তদন্ত করে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
একই রাতে দু’টি পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের এডিসিপি পূর্ণিমা শেরপা বলেন, আমরা দু’টি ঘটনারই তদন্ত করছি। অভিযোগ পেয়েছি গাড়িচালকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। শহরে রাতে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য রুখতে অভিযানে নামা হবে। করোনা পরিস্থিতির করণে ব্রেথ অ্যানালাইজ টেস্ট করছি না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শীঘ্রই ওই টেস্ট শুরু করব। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিজের চারচাকার গাড়ি নিয়ে কমলকুমার মৃধা গেটবাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর গাড়ি প্রথমে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে পরে গাড়িটি রেল কোয়ার্টারে ঢুকে যায়। ওই কোয়ার্টারে সুনীলবাবু পরিবার নিয়ে থাকতেন। ওই সময়ে বাইরে তিনি সহ পরিবারের কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। গাড়িটি সরাসরি সুনীলবাবুকে ধাক্কা মারে। সুনীলবাবু মারা যান। গুরুতর জখম হন তাঁর মা, স্ত্রী ও ছেলে সহ প্রতিবেশী কয়েকজন। সবমিলিয়ে ছ’জন জখম হন। গুরুতর জখম বাপি দে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় গাড়িচালক। পুলিস পৌঁছে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। ঘাতক গাড়িচালকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান কোনও পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কাতেই কবিতা গুরুংয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে সঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। তাই জাতীয় সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। পুলিস মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।