বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শহরের এক বাসিন্দা নেপাল প্রামাণিক বলেন, চার-পাঁচদিন ধরে শহরের সব এটিএমগুলিতে ঘুরছি। একটিতেও টাকা পায়নি। এদিকে এর মধ্যে তো ব্যাঙ্কও একাধিক দিন বন্ধ ছিল। তাই ব্যাঙ্কে গিয়েও টাকা তুলতে পারিনি। খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। বুধবার অবশেষে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুলেছি। এটিএম কর্তৃপক্ষগুলির একটা দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। মাসের প্রথমে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মানুষ কোথায় যাবে?
আরেক বাসিন্দা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাসের শুরুতে বেতন তুলতে পারছি না। রবিবার রাত থেকে হন্যে হয়ে শহরের সব এটিএম ঘুরেছি। একটিতেও টাকা নেই। এছাড়া অনেক এটিএম খারাপ হয়ে রয়েছে।
এবিষয়ে বালুরঘাট স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অসিত শিকদার বলেন, বালুরঘাট শহর ও শহরের আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে আমাদের অনেক এটিএম রয়েছে। সেখানে টাকার জন্য সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। কিন্তু আমাদের এই বিষয়ে কিছু করার নেই। এটিএম একটি সংস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সংস্থাই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
অন্যদিকে, জেলা লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, এর মাঝে কয়েকদিন ধরে ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। যার ফলে এটিএমগুলি অর্থশূন্য হয়ে পড়েছিল। তবে কোথা থেকে কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এটিএমগুলিতে আমাদের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। তাঁরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আর কোথায় কি সমস্যা রয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, মাসের শুরুতে শহরের এটিএমগুলি অর্থশূন্য হয়ে রয়েছে। এটিএম কর্তৃপক্ষের উচিত এবিষয়ে সচেতন হওয়া। অনেকেই ব্যবসার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহর, শহর সংলগ্ন এলাকা ও পতিরাম, কামারপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা জুড়ে প্রায় ৫০টি এটিএম রয়েছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র বালুরঘাট শহরেই প্রায় ২০টি এটিএম রয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহের শনিবার থেকেই শহর ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলির এটিএমগুলিতে টাকা ছিল না। বালুরঘাটের অনেক বাসিন্দাই হন্যে হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টাকার জন্য ঘুরেছেন। কিন্তু সব এটিএমেই ‘নো ক্যাশ’ লেখা দেখে ফিরে আসতে হয়েছে। মাসের শুরুতে বেতন বা পেনশনের টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এখন বিয়ের মরশুম। যাঁদের বাড়িতে বিয়ে রয়েছে, তাঁরাও ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন। যাঁরা অনলাইন লেনদেনে সড়গড়, তাঁরা সেভাবেই কাজ সেরে নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই সংখ্যাটা মোটেই খুব একটা বেশি নয়। এদিন সকালেও বালুরঘাটের বড়বাজার, ডানলপ মোড়, বিশ্বাস পাড়া, বাস স্ট্যান্ড সহ বহু জায়গায় টাকা তোলার জন্য বাসিন্দাদের দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বাধ্য হয়ে এদিন বিভিন্ন ব্যাঙ্কে টাকা তোলার জন্য মানুষ ভিড় করে। প্রবীণদেরও ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে দেখা গিয়েছে।