কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঞ্চে বক্তৃতায় অনীত বলেন, দার্জিলিং পাহাড়ে অশরীরি আত্মারা আসছে, ওদের তাড়াতে হবে। বিমল গুরুংয়ের নাম নিয়ে তাঁকে অশরীরি আত্মা বলে খোঁচাও দেন অনীত। এদিন তাঁর গলায় একাধিকবার শোনা যায়, বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বে চলা পাহাড় এখন শান্ত রয়েছে। পাহাড়ের জনতাই স্থির করবেন তাঁরা কী শান্তি চান, না বছর তিনেক আগে যেভাবে পাহাড় অশান্ত হয়েছিল সেই পরিবেশ ফিরে আসুক। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে পহাড়ের উন্নয়ন হচ্ছে, প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কেউ এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে বিধানসভা ভোটে সমর্থন করার কথা বলে পাহাড়ে এসে ফের অশান্তির পরিবেশ তৈরি করুক এটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অনীত বলেন, ২০১৭ সালে পাহাড়ের জন্য আগুনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছি। তাই এখন আগুনকে আর ভয় পাই না। এতদিন বিমল গুরুং লুকিয়ে ছিলেন। ক্ষমতালোভী গুরুং এখন গর্ত থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওঁকে আমরা পাহাড়ে আসতে দেব না। উনি গর্তেই থাকুন। আন্দোলনের সময়ে পিঠ দেখিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন গুরুং, রোশনরা। আন্দোলনের নামে পাহাড়ে অস্থিরতা তৈরি করে রেখেছিলেন বিমল। আমরা চাই পাহাড়ে গণতন্ত্র থাকুক। কিন্তু বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা পাহাড়ের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছিলেন। সকলের বলার সমান অধিকার আছে। তাই আমরা রবিবার রোশন গিরিকে সভা করতে বাধা দিইনি। প্রকাশ্য সভায় গিরি আমাদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক নানানরকম মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আমাদের লোকজন ধীরস্থির তাই সেই দিনের সভাস্থলে গিয়ে কেউ বিক্ষোভ দেখাননি। রোশন সেদিন বলেছিলেন, ঝান্ডা কারও নিজের সম্পত্তি নয়। কিন্তু সেদিন ওরাই ঝান্ডা ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই ঝান্ডা ধরে রেখেছি। যেদিন ওরা পালিয়ে গিয়েছিল, সেদিনই পাহাড়ের জনগণ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ঠিক যেমনটা ২০০৭ সালে জিএনএলএফ পার্টিকে ধোঁকা দিয়ে সুবাস ঘিসিং পাহাড় ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সুবাস ঘিসিং ফিরতে পারেননি, বিমলও পারবেন না। এদিন অনীতের জনসভার জন্য কার্শিয়াংয়ে ব্যাপক যানজট হয়। নিজস্ব চিত্র